মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানে নেই ভীড়, চিন্তায় অনিমেষ, রহিম কবিতারা
মকর সংক্রান্তির দিনে নদীতে স্নানের বিশেষ রীতি প্রচীন কাল থেকে হয়ে আসছে। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ কাছেপিঠে নদীতে বা সমুদ্রে স্নান করেন। গত বছরগুলিতে নদী তীরবর্তী…
মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানে নেই ভীড়, চিন্তায় অনিমেষ, রহিম কবিতারা
মকর সংক্রান্তির দিনে নদীতে স্নানের বিশেষ রীতি প্রচীন কাল থেকে হয়ে আসছে। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ কাছেপিঠে নদীতে বা সমুদ্রে স্নান করেন। গত বছরগুলিতে নদী তীরবর্তী এলাকার ছবিটা ছিলো অন্যরকম। পূর্ণ্যলাভের আশায় রুপনারায়ন নদীর পাড়ে ঘাটে ঘাটে মানুষের ভীড় জমে উঠতো। কিন্তু করোনার কোপে সেই ছবি একেবারে পালটে গিয়েছে। হাতে গোনা স্থানীয় কিছু মানুষ স্নান সারছেন। মহিষাদল ব্লকেত গেঁওখালীতে রুপনারায়ন নদীর পাড়ে পূর্ণার্থীদের ভীড় না থাকায় খুব সমস্যায় পড়েছে অনিমেষ, রহিম ও কবিতার মতো কিশোর কিশোরিরা। কেন তারা সমস্যায় পড়েছেন? জানতে তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারা যায়, প্রতিবছর তারা একটি বড় চুম্বককে বড় দড়ি দিয়ে বেঁধে নদীর মাঝে ফেলে দেয়। তার পর ধিরে ধিরে দড়িটি টানতে থাকে। দড়ির সাথে বাঁধা চুম্বকে পূর্ণ্যার্থীদের প্রনামের টাকার কয়েনগুলি আটকে যায়। অর্থ উপার্জন হয়। গত বছর গুলিতে ২০০/২৫০ টাকা করে পাওয়া গেলেও এবছর সেইভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। পূর্ণ্যার্থীদের ভীড় না থাকায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
স্বর্ণকমল গৌতম নামে এক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন মহিষাদলের গেঁওখালীর রুপনারায়ন নদীতে বহু মানুষ পূর্ণ্যলাভের আশায় স্নান করতে আসতেন। তবে বর্তমান সময়ে করোরনার তৃতীয় ঢেউ যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেকথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসন থেকে মকর সংক্রান্তির পূর্ণ্যস্নানে জমায়েত করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।ফলে কোভিড বিধি মেনেই দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয়রাই স্নান সারছেন। দূর দূরান্ত থেকে সেইভাবে কেউ আসছে না।
অনিমেষ সীট নামে এক কিশোর বলেন, প্রতি বছর এইদিনে কিছু টাকা পাওয়া যেতো। কিন্তু এবছর মানুষের ভীড় না থাকায় সেই ভাবে টাকা পাওয়া যায়নি। মন খুব খারাপ। আগামী বছর করোনা মুক্ত হয়ে যাবে পূর্ণ্যার্থীদের ভীড় জমবে কিছু অর্থ পাওয়ার আশায় থাকলাম।।
No comments