সাধারণতন্ত্র দিবসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি
সাধারণতন্ত্র দিবসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি২৬ জানুয়ারির উৎসব এবার থেকে শুরু হবে নেতাজির জন্মদিনে, ঘোষণা কেন্দ্রেরএ বছর থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের উৎসব শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি নেতা…
সাধারণতন্ত্র দিবসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি
সাধারণতন্ত্র দিবসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি
২৬ জানুয়ারির উৎসব এবার থেকে শুরু হবে নেতাজির জন্মদিনে, ঘোষণা কেন্দ্রের
এ বছর থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের উৎসব শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন থেকেই। এমনই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিনের একেবারে প্রাক্কালে।
বলা বাহুল্য, জানুয়ারি মাস এলেই মোদি সরকারের নেতাজি বন্দনা শুরু হয়। অথচ সারা বছর ধরে সেই বন্দনার কোনও প্রতিফলন আর চোখে পড়ে না বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। ঠিক এক বছর আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মণিপুর থেকে আন্দামান। লালকেল্লা থেকে বাংলা। কীভাবে নেতাজিকে ঘিরে নানাবিধ কর্মসূচি, শ্রদ্ধানিবেদন করা হবে, সেটা নিয়েই এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। এরকমই ছিল নির্ধারিত।
কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও সেই কমিটির কোনও বৈঠকই হয়নি। এ নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন একের পর এক গোপন ফাইল প্রকাশ করা হবে। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য দেশের সামনে উন্মোচিত হবে। অথচ প্রকৃতপক্ষে দেখা গিয়েছে, এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আজ পর্যন্ত প্রকাশ করাই হল না যা অন্তর্ধান রহস্যে সামান্যতম আলো ফেলেছে। কিছু ফাইল প্রকাশের পর গোটা উদ্যোগটাই বন্ধ। আর কোনও ফাইল প্রকাশের লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এক বছর আগের কমিটিও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এরকম অবস্থায় কমিটি গঠনের এক বছর পর হঠাৎ আর একটি ২৩ জানুয়ারির প্রাক্কালে মোদি দরকার নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। নেতাজির জন্মদিবসকে যুক্ত করা হয়েছে সাধারণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে। সাধারণতন্ত্র দিবসের নানাবিধ কর্মসূচি এবার থেকে ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে। নেতাজিকে সম্মান জানাতে এই সিদ্ধান্ত। এর আগে এই কর্মসূচি শুরু হত ২৪ জানুয়ারি। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ‘জনমনগণ’কে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সাধারণত এত বছর ধরে ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড আয়োজিত হয়ে এসেছে। তবে তার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় নানাবিধ কর্মসূচি। ২৩ জানুয়ারি হয় ওই প্যারেডের পূর্ণাঙ্গ মহড়া। ২৯ জানুয়ারি হয় বিটিং রিট্রিট। এভাবেই সমাপ্ত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ২৩ জানুয়ারিকে। নেতাজির প্রতি সম্মান জানাতে একঝাঁক নতুন অনুষ্ঠানও হবে।
No comments