দুই দলের রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী পাঁশকুড়ার চক গোপালের তারা মায়ের মন্দির।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী পাঁশকুড়ার চকগোপালের তারা মায়ের মন্দির। প্রসঙ্গত, পাঁশক…
দুই দলের রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী পাঁশকুড়ার চক গোপালের তারা মায়ের মন্দির।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী পাঁশকুড়ার চকগোপালের তারা মায়ের মন্দির। প্রসঙ্গত,
পাঁশকুড়ায় দোকান ভাঙচুর নিয়ে সংঘর্ষ জখম ৬, বন্ধ হল তারামায়ের মন্দির ,পাঁশকুড়া থানার চকগোপাল গ্রামে তারামায়ের মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি পানের দোকানে ভাঙচুর ও জিনিসপত্র লুটপাটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় গ্রাম কমিটির সঙ্গে মন্দির কমিটির লোকজনের সংঘর্ষে দু’পক্ষের মোট ছ’জন জখম হন। শনিবার পাঁশকুড়া থানার আইসি আশিস মজুমদার বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন পুলিস উভয়পক্ষকে নিয়ে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করলেও সেই প্রক্রিয়া সফল হয়নি। উল্লেখ্য, গত বছর তারাপীঠের মন্দিরের আদলে পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামের তারামায়ের মন্দির তৈরি হয়। সেই মন্দির তৈরির নেপথ্যে দু’জন মূল উদ্যোক্তা ছিলেন। যদিও মন্দির নির্মাণের কাজে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা ছিল। সম্প্রতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি পানের দোকান করেছিলেন চকগোপাল গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার দোলই। বৃহস্পতিবার রাতে সেই দোকানে ভাঙচুর ও জিনিসপত্র লুটপাট হয়। এনিয়ে সুকুমারবাবু স্থানীয় গ্রাম কমিটির কাছে অভিযোগ জানান। এরপর তিনি পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে জড়ো হন গ্রাম কমিটির সদস্যরা। সেখানেই গ্রামবাসীদের উপর মন্দির কমিটির লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রাম কমিটির লোকজন জখম হন। মোট ছ’জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।জানা গিয়েছে, মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দোকান বসানোর ক্ষেত্রে গোড়া থেকেই আপত্তি ছিল মন্দির কমিটির। এই ঘটনায় মন্দির কমিটির লোকজনের হাত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চকগোপাল গ্রাম কমিটির সভাপতি মদন দোলই। তিনি বলেন, এই মন্দির তৈরির জন্য গ্রামবাসীদের সহযোগিতা থাকলেও এখন সেখানে নিজেদের জায়গায় দোকান তৈরিতে বাধা দিয়েছে মন্দির কমিটি। ওই এলাকায় শুধু মন্দির কমিটি ছাড়া অন্য কেউ ব্যবসা করতে পারবে না বলে তাদের বক্তব্য। বাধা উপেক্ষা করেও সুকুমার দোলই পান দোকান করেছিলেন। সেই জন্য রাতের অন্ধকারে সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গ্রাম কমিটির লোকজন। এদিন দুপুর নাগাদ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ দেওয়া হয়। মন্দির কমিটির সদস্য সুবীর দোলই বলেন, এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখানে তারাপীঠের আদলে মন্দির বানিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে মন্দির কমিটির সম্পাদক প্রভঞ্জন দোলই মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, দু’দিনের ঘটনা পরম্পরায় আমরা প্রাণসংশয় করছি। তাই মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ করা হল। পাঁশকুড়া থানার আইসি বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments