Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষকের একাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষকের একাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু রবি মরশুমে ধান চাষের জন্য বুধবার থেকে রাজ্যের চাষিদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা দেওয়া শুরু হল। এদিন মালদহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকবন্ধু স্কিমের সুবিধা চাষিদের…

 




পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষকের একাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু

 রবি মরশুমে ধান চাষের জন্য বুধবার থেকে রাজ্যের চাষিদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা দেওয়া শুরু হল। এদিন মালদহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকবন্ধু স্কিমের সুবিধা চাষিদের অ্যাকাউন্টে প্রদানের শুভ সূচনা করেন। গোটা রা঩জ্যের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সর্বোচ্চ ১০লক্ষ ৬৮হাজার ৪৯০জন উপকৃত হবেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষকবন্ধু পাচ্ছেন ৮লক্ষ ১২হাজার চাষি। এদিন বিকেল ৫টার পর চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হয়েছে। প্রথমদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৮৮হাজার ৭২১জনের অ্যাকাউন্টে ১৯কোটি ৬০লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রথম দিন ১লক্ষ ৩০হাজার ৬৭২জনের অ্যাকাউন্টে ৩০কোটি ৯৫লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮লক্ষ ১২হাজার চাষি মোট ২২৯কোটি টাকা পাবেন। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ৩০০কোটি টাকা পাবেন চাষিরা।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় উপভোক্তার সংখ্যা রা঩জ্যের মধ্যে সর্বাধিক। ভগবানপুর-১ ব্লকে ৫৫হাজার ৮২৩জন, পাঁশকুড়ায় ৫৯হাজার ৭২৭জন, তমলুক ব্লকে ৫১হাজার ৯৩৩জন, নন্দকুমার ব্লকে ৫৪হাজার, ময়না ব্লকে ৫৩হাজার, কোলাঘাট ব্লকে ৪৩হাজার চাষি উপকৃত হবেন। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বছরে দু’বার একজন চাষিকে জমির পরিমাণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একটি মরশুমে একজন চাষি জমির পরিমাণ অনুযায়ী দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা পান। এর আগে খরিফ মরশুমে চাষিরা মাথাপিছু দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। এখন বোরো চাষের প্রস্তুতি চলছে। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবারও সমপরিমাণ টাকা দেওয়া শুরু হল। এদিন মালদহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনের পরই বিকেল ৫টা থেকে টাকা ঢোকা শুরু হয়। আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যে কৃষকবন্ধু পোর্টালে নথিভুক্ত প্রত্যেক চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।

দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় এক লক্ষ চাষি কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নতুন করে নথিভুক্ত হয়েছেন। ওই প্রকল্পের শুরু থেকেই প্রথম স্থানে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। তারপর দুয়ারে সরকার দু’টি ক্যাম্প শেষে একলাফে উপভোক্তার সংখ্যা ১০লক্ষ ৬৮হাজার হয়ে গিয়েছে। পিএম কিষান প্রকল্পেও রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উপভোক্তা পূর্ব মেদিনীপুরে। আগামী ১৫-১৬ডিসেম্বর নাগাদ পিএম কিষানের টাকা ঢুকতে পারে বলে কৃষিদপ্তরের অফিসাররা জেনেছেন। ওই প্রকল্পে বছরে তিনটি কিস্তিতে দু’হাজার করে মোট ছ’হাজার টাকা দেওয়া হয়।

এবছর বন্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমন চাষ ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ২লক্ষ ৪৫হাজার ৮০০হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের বন্যায় ১ লক্ষ ৯৪হাজার ৫২০হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়। গোটা জেলায় মাত্র ৫১হাজার হেক্টর জমির ফসল টিকে ছিল। জওয়াদ নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ২৯হাজার হেক্টর জমির পাকা ধান আবারও ক্ষতির মুখে। ধারাবাহিক বিপর্যয়ে এবছর জেলার চাষিদের অবস্থা শোচনীয়। বোরো চাষের খরচ নিয়ে প্রায় সকলেই চিন্তিত। এই অবস্থায় কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা তাঁদের অনেকটাই স্বস্তি দেবে।  

নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, পাঁশকুড়ার ক্ষীরাই গ্রামের দেবাশিস মান্না প্রমুখ বলেন, আমন ধান বিক্রি করে বোরোচাষের প্রস্তুতি নিই। এবার সেই উপায় নেই। রাসায়নিক সারের দাম আকাশছোঁয়া। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের এই টাকায় রাসায়নিক সার কিনতে পারব। জেলা কৃষিদপ্তরের উপ অধিকর্তা(প্রশাসন) আশুতোষ মণ্ডল বলেন, সাড়ে ১০লক্ষ চাষি কৃষকবন্ধুর সুবিধা পাবেন। বুধবার সন্ধ্যা থেকে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে।

No comments