Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মাটির চরিত্র বুঝে বনভূমি তৈরির জন্য এবার কৃষি দপ্তরের আদলে সয়েল হেল্থ কার্ড বানাচ্ছে বনদপ্তর

মাটির চরিত্র বুঝে বনভূমি তৈরির জন্য এবার কৃষি দপ্তরের আদলে সয়েল হেল্থ কার্ড বানাচ্ছে বনদপ্তর পূর্ব মেদিনীপুরে মাটির চরিত্র বুঝে বনভূমি তৈরির জন্য এবার কৃষি দপ্তরের আদলে সয়েল হেল্থ কার্ড বানাচ্ছে বনদপ্তর। উমপুন ও ইয়াসে ব্যাপকভাবে …

 



মাটির চরিত্র বুঝে বনভূমি তৈরির জন্য এবার কৃষি দপ্তরের আদলে সয়েল হেল্থ কার্ড বানাচ্ছে বনদপ্তর

 পূর্ব মেদিনীপুরে মাটির চরিত্র বুঝে বনভূমি তৈরির জন্য এবার কৃষি দপ্তরের আদলে সয়েল হেল্থ কার্ড বানাচ্ছে বনদপ্তর। উমপুন ও ইয়াসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের সেল্টারবেল্ট বনভূমি ও সামাজিক বনসৃজনকে নতুন করে দ্রুততার সঙ্গে গড়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে এই কার্ড। কোন এলাকায় কী ধরনের গাছ লাগানো হবে বা বনাঞ্চল সম্প্রসারণে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে জেলা বনদপ্তর। কোন মাটিতে কী ধরনের অনুখাদ্যের প্রয়োজন হেল্থ কার্ড তা জানিয়ে দেবে বনদপ্তরের কর্মীদের। সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলাতে উপকূল এলাকায় জোরকদমে শুরু হয়েছে ‘উদ্ভিদ প্রাচীর’ তৈরির কাজ। তার আগে শীতকাল জুড়ে সমস্ত এলাকায় ফরেস্টরেঞ্জ ও বিট অফিসগুলি মাটি পরীক্ষা করবে। কীভাবে সেই পরীক্ষা করবেন বনকর্মীরা সেবিষয়ে বুধবার থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। 

নন্দকুমারের মূলাখোপে জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে কৃষি(কেভিকে) ও বন দপ্তর যৌথভাবে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সয়েল হেল্থ কার্ড তৈরির আগে কীভাবে মাটি পরীক্ষা করতে হয় সেবিষয়ে বনকর্মীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কেভিকে’র কৃষি বিজ্ঞানীরা। এদিন প্রশিক্ষণের সূচনা করেন রাজ্যের চিফ কনজারভেরট অব ফরেস্ট(পশ্চিমাঞ্চল) অশোক প্রতাপ সিং। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম, পূর্বের ডিএফও অনুপম খান এবং জেলার এডিএফও ও বনদপ্তরের বিভিন্ন রেঞ্চ ও বিট আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বনদপ্তরের সিসিএফ ময়নায় গ্রাস নার্সারি ও দীঘার বনদপ্তরের নার্সারি ঘুরে দেখেন। আগামী দু’দিন ধরে সিসিএফ জেলার উপকূল এলাকার জুনপুট সহ বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ বনভূমি ও কোলাঘাটে নার্সারি তৈরির কাজ খতিয়ে দেখবেন। জেলার উপকূল এলাকায় এবার নতুন করে ৫০০হেক্টরের বেশি ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরি করছে বনদপ্তর।

এক বন আধিকারিক বলেন, বনকর্মীদের হাতের কাছে সয়েল হেল্থ কার্ড থাকলে নার্সারি ও গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সুবিধে হবে। কোন মাটিতে কী ধরনের প্রয়োজনীয় জৈব ও অজৈব পদার্থ কম বা বেশি রয়েছে, মাটির পিএইচ ভ্যালু কত, মাটিতে কতখানি অনুখাদ্য প্রয়োজন তা জানতে হেল্থ কার্ড কার্যত চিকিৎসকের কাজ করবে। কোনও এলাকার মাটির চরিত্র জানলে বনকর্মীদের কাছে গাছের প্রজাতি বাছতে সুবিধে হবে। সেক্ষেত্রে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি সম্ভব হবে। মাটি পরীক্ষা করতে গেলে মাটির স্যাম্পেল বা নমুনা সংগ্রহ করে তার মিশ্রণকে বিশ্লেষণ করতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তর তাঁদের সহায়তা করছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএফও অনুপমবাবু বলেন, জেলায় বনদপ্তরের কাজে গতি আনতে নতুন যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সয়েল হেল্থ কার্ড। জেলায় বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৫০০স্কয়ার কিলোমিটার। মোট আয়তনের তুলনায় খুবই নগন্য। এর আয়তন বাড়াতে জেলা প্রশাসনের কাছে পতিত জমি, নদীচরের জমি চেয়েছে বনদপ্তর। 

তিনি জানান, হলদি ও হুগলি নদীর চর এলাকায় এধরনের জমি ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরির জন্য দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া উপকূল এলাকায় ত্রিস্তরীয় উদ্ভিদ প্রাচীর তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ব্লকে মাটি পরীক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের নার্সারি তৈরি হচ্ছে। ময়নায় বিভিন্ন ধরনের ঘাসের নার্সারি তৈরি হয়েছে। হলদিয়ার অদূরে বালারি চরে, কোলাঘাটে, মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ায় ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নার্সারির তৈরি হচ্ছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় উমপুনে কয়েক লক্ষ গাছ নষ্ট হয়েছে। সেই অভাব পূরণে বালুঘাটা বিট অফিস নার্সারিতে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, করঞ্জা, শিরিস, নিমের মতো বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদের নার্সারি তৈরি হয়েছে। শিল্পশহরে মাটি পরীক্ষার পর লবণাক্ততার মান যাচাই করে গাছ লাগানো হবে।

No comments