Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিপিন রাওয়াত কার্যবিবরণী

বিপিন রাওয়াত কার্যবিবরণী
গতকালের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বিপিন রাওয়াত ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্রাণ দিতে হলো তাঁর পারসোনাল সিকিউরিটি দার্জিলিংয়ের হাবিলদার সৎপাল রাই-কেও (প্রথম ছবি)। ছবিটা তাঁদের দার্জিলিং সফরের সময়কালে তোলা। আজ উদ্ধা…

 


বিপিন রাওয়াত কার্যবিবরণী


গতকালের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বিপিন রাওয়াত ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্রাণ দিতে হলো তাঁর পারসোনাল সিকিউরিটি দার্জিলিংয়ের হাবিলদার সৎপাল রাই-কেও (প্রথম ছবি)। ছবিটা তাঁদের দার্জিলিং সফরের সময়কালে তোলা। আজ উদ্ধার করা হয়েছে ব্ল্যাক বক্স।  প্রয়াত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ছিলেন দেশের অন্যতম সাহসী যোদ্ধা। বর্ণময় পেশাগত জীবন ছিল তাঁর। দেশে তো বটেই, বিদেশেও কুড়িয়েছেন প্রংশসা। বহু সম্মানে ভূষিত তিনি। বিহঙ্গের দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে তাঁর জীবনী: ১৯৫৮ সালের ১৬ মার্চ উত্তরাখণ্ডের পাউরিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিপিন রাওয়াত। বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনার ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটেলিয়নে। পরে একই ব্যাটেলিয়নে নিজের পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন বিপিন রাওয়াত।

   শিমলা, দেহরাদুনে পড়াশোনা শেষ করে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 

শিমলা, দেহরাদুনে পড়াশোনা শেষ করে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্টে যোগ দেন বিপিন রাওয়াত। একটা সময় রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিপিন রাওয়াত।  দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় আর্মি ইউনিট-এর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন।  সাহসিকতার জন্য একের পর এক মেডেল শোভা পেয়েছে তাঁর ইউনিফর্মে। ৪৩ বছরের বর্ণময় কর্মজীবন তাঁর। ২০১৯ সালে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে হয়েছিলেন ভারতীয় সেনার প্রধান।

৪৩ বছরের বর্ণময় কর্মজীবন তাঁর। ২০১৯ সালে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে হয়েছিলেন ভারতীয় সেনার প্রধান।

   ১৯৮০-তে লেফটেন্যান্ট, ১৯৮৪ সালে ক্যাপ্টেন, ১৯৮৯ -তে মেজর, ১৯৯৮ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ২০০৩ -এ কর্নেল, ২০০৯- এ ব্রিগেডিয়ার, ২০১১ -তে মেজর জেনারেল, ২০১৪ সালে সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি অবসর নেন। তবে তার পরও দেশের সেনার সর্বাধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। সেবা মেডেল, উত্তম যুদ্ধ সেবা মেডেল, অতি বিশিষ্ট সেবা মেডেল, যুদ্ধ সেবা মেডেল, সেনা মেডেল, বিশিষ্ট সেবা মেডেল, বিদেশ সেবা মেডেল- সহ একাধিক সম্মান পেয়েছেন তিনি।  ২০১৫ সালে মণিপুরের সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতের স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীর ৭০ জন যোদ্ধা। সেবার কমপক্ষে ৩৫ জঙ্গিকে খতম করেছিল বাহিনী। সেই সার্জিকাল স্ট্রাইক পরিচালনা করেছিলেন বিপিন রাওয়াত।

No comments