Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দাঁত নড়ে যায় কেন?

দাঁত নড়ে যায় কেন?মানুষের দাঁত ওপর ও নীচের চোয়ালের হাড়ের সাথে আটকে থাকে। হাড় ও দাঁতের মাঝখানে থাকে আণুবীক্ষণিক কিছু লিগামেন্ট, যা দাঁতকে চোয়াল ও মাড়ির মধ্যে ধরে রাখতে সাহায্য করে। দাঁত, মাড়ি, হাড় ও লিগামেন্টগুলিকে একসঙ্গে…

 



দাঁত নড়ে যায় কেন?

মানুষের দাঁত ওপর ও নীচের চোয়ালের হাড়ের সাথে আটকে থাকে। হাড় ও দাঁতের মাঝখানে থাকে আণুবীক্ষণিক কিছু লিগামেন্ট, যা দাঁতকে চোয়াল ও মাড়ির মধ্যে ধরে রাখতে সাহায্য করে। দাঁত, মাড়ি, হাড় ও লিগামেন্টগুলিকে একসঙ্গে পেরিওডন্সিয়াম বলে। এগুলির কোনও একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দাঁত নড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দাঁত নড়ে যাওয়ার সাধারণ কারণ গুলি হল—

১) শিশুর দুধে দাঁত প্রতিস্থাপিত হয়ে নতুন দাঁত বের হয়। নতুন দাঁত বের হওয়ার কয়েকদিন আগে দুধে দাঁতগুলি নড়তে শুরু করে। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। চিন্তার কিছু নেই।

২) মাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে সংক্রমণ হলে, কিংবা শক্ত পাথরের মতো পদার্থ (ক্যালকুলাস) জমলে মাড়ি নীচের দিকে নেমে যায়, দাঁতের গোড়ায় যে হাড় থাকে, তা দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে একটি বা একাধিক দাঁত নড়তে শুরু করে।

৩) ওপরের দাঁতগুলির সঙ্গে নীচের দাঁতগুলির সামঞ্জস্যের অভাবে এক বা একাধিক দাঁতের ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়ে, দীর্ঘদিন ধরে বিনা চিকিৎসায় এরকম হতে থাকলে দাঁত নড়ে যায়।

৪) দাঁতের ওপর খুব জোরে আঘাত লাগলেও নড়বড়ে হতে পারে দাঁত।

৫) দাঁতের গোড়ায় সিস্ট বা অ্যাবসেস হলেও দাঁত নড়ে যেতে পারে।

৬) দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে, কিংবা অন্য কোনও বিশেষ রোগে আক্রান্ত হলে দাঁত দুর্বল হয়ে যায়।

প্রতিকার ও চিকিৎসা 

কথায় বলে প্রতিরোধই হল আরোগ্য লাভের সেরা উপায়। তাই দাঁত নড়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।

১) দিনে দু’বার করে ব্রাশ করতে হবে, একবার সকালে উঠে ও একবার ঘুমাতে যাওয়ার আগে। মাঝে খাদ্যগ্রহণ করলে কুলকুচি করে মুখগহ্বর ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

২) শিশুর দুধে দাঁত নড়ে গেলে কখন তুলে ফেলতে হবে, সেটা  দন্তচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৩) ব্রাশ করতে গেলে মাড়ি থেকে রক্ত বেরচ্ছে কি না লক্ষ করুন। মাড়ি ফুললে, দাঁত শিরশির করলে বা দাঁতে কোনওরকম ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪) দুই চোয়ালের দাঁতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকলে অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতে 

ব্রেস লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করা যায়।

৫) ছয় মাসে অন্তত একবার দন্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে মুখ পরীক্ষা করে আসুন, তাতে দাঁতের সমস্যা থাকলে তা শুরুতেই ধরা পড়ে।

সবশেষে বলব, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। শুধু চিবিয়ে খাওয়াই নয়, একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য দাঁতের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। সামনের দিনগুলোয় দাঁত বের করেই হাসতে হবে, যদি আমরা শিগগিরই মাস্ক পরার সময়টা কাটিয়ে উঠতে পারি। তাই দাঁত ঝকঝকে রাখাই ভালো।

No comments