Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চার মাস ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ

চার মাস ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ
 চার মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। তার জেরে গত ৩ আগস্ট থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জবকার্ডধারীরা এই প্রকল্পে কাজ করেও পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত ১০৪কোটি ৭৫লক্ষ ৭১হাজ…

 



চার মাস ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ


 চার মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। তার জেরে গত ৩ আগস্ট থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জবকার্ডধারীরা এই প্রকল্পে কাজ করেও পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত ১০৪কোটি ৭৫লক্ষ ৭১হাজার টাকা বকেয়া। টানা চার মাস একশো দিনের কাজ করলেও টাকা না পেয়ে গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষজন খুবই সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিদিন জেলায় ৮০থেকে ৮৫হাজার কর্মদিবস তৈরি হচ্ছে। অথচ জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢুকছে না। তার জেরে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। শীতের সময় ১০০ দিনের কাজ বেশি হয়। কিন্তু, টাকার অভাবে এখন ওই স্কিমের কাজে গতি আসছে না। প্রতিদিন জেলায় বকেয়া মজুরির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

২০২১-’২২ আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন একশো দিনের কাজে মোট ১ কোটি ১৯ লক্ষ ১৬ হাজার শ্রমদিবসের পরিকল্পনা জমা করেছিল। গত অক্টোবর মাসে শ্রমদিবসের ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ছাপিয়ে গিয়েছে জেলা। এখন মোট ১ কোটি ৩২ লক্ষ ২৬ হাজার কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১১১ শতাংশ। রাজ্যের প্রায় সব জেলা চলতি আর্থিক বছরের লেবার বাজেট অতিক্রম করেছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার সাপ্লিমেন্টারি লেবার বাজেট কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সেই বাজেট অনুমোদন না করায় জট তৈরি হয়েছে। আগামী ৩১মার্চ চলতি আর্থিক বছর শেষ হবে। তার আগে রাজ্যের পাঠানো এনআরইজিএ-র সাপ্লিমেন্টারি লেবার বাজেট কেন্দ্র অনুমোদন না করা পর্যন্ত পেমেন্ট বকেয়া থাকছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আগস্ট মাসের পর থেকে এনআরইজিএ-র পেমেন্ট হচ্ছে না। গরিব মানুষজন কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না। ময়না ব্লকে সর্বোচ্চ ১২কোটি ৮০লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও পাঁশকুড়া ব্লকে ৬কোটি ৫৩লক্ষ, মহিষাদল ব্লকে ৫কোটি ২লক্ষ, নন্দীগ্রাম-১ব্লকে ৪কোটি ১৫লক্ষ, নন্দীগ্রাম-২ব্লকে ৪কোটি ১৪লক্ষ, নন্দকুমার ব্লকে ৩কোটি ২২লক্ষ, হলদিয়া ব্লকে ২কোটি ৯৬লক্ষ, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ২কোটি ৩৯লক্ষ টাকা বকেয়া। এভাবে জেলার ২৫টি ব্লকে জবকার্ডধারীদের পারিশ্রমিক বাবদ মোট ১০৪কোটি ৭৫লক্ষ টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। টাকার জোগান না থাকায় জবকার্ডধারীদের একটা বড় অংশ কাজে অনীহা দেখাচ্ছেন। যেকারণে শীতের মরশুমে অনুকূল পরিস্থিতিতেও একশো দিনের কাজ গতি হারাচ্ছে।  নন্দীগ্রাম-১ব্লকের কালীচরণপুর গ্রামের পঞ্চয়েতের নাকচিরাচর, ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চমখণ্ড জালপাই, সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউথখালি, গাংড়াচর প্রভৃতি এলাকায় একশো দিনের কাজে নদীবাঁধ শক্তপোক্ত এবং ম্যানগ্রোভ চারা লাগানো হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখনও পঞ্চমখণ্ড জালপাই গ্রামের বলাই জানা, বিপিন বেরা, নাকচিরাচর গ্রামের হাবিবা খাতুন, নূর বিবি সহ আরও অনেকেই পেমেন্ট পাননি। গোটা জেলায় এরকম হাজার হাজার জবকার্ডধারী এই সঙ্কটে পড়েছেন। 

বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য প্র঩ত্যেক উপভোক্তা ১লক্ষ ২০হাজার টাকা পান। এছাড়াও এনআরইজিএ স্কিম থেকে প্রত্যেককে ৯০টি কর্মদিবসের অর্থ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, টাকার অভাবে আবাস যোজনার উপভোক্তাদেরও এখন ওই পেমেন্ট দেওয়া যাচ্ছে না। যেকারণে বাড়ি তৈরির কাজও আটকে যাচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) দিব্যাস মুরুগেসন বলেন, ৩আগস্টের পর থেকে জবকার্ডধারীরা পেমেন্ট পাচ্ছেন না। অথচ প্রতিদিন জেলায় একশো দিনের কাজে গড়ে ৮০-৮৫হাজার কর্মদিবস তৈরি হচ্ছে। এই মুহূর্তে পারিশ্রমিক বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ১০৪কোটি টাকা। প্রতিদিন টাকার পরিমাণ বাড়ছে। টাকার জোগান না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।

[16/12, 7:58 am] HALDIA NEWS: ইউনেস্কো


ad

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সর্বজনীন দুর্গাপুজো এবার প্রকৃত অর্থেই ‘বিশ্বজনীন’। কলকাতার দুর্গাপুজো স্বীকৃতি পেল ইউনেস্কোর। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় এশিয়ার প্রথম উৎসব হিসেবে স্থান দখল করে নিল বাংলা তথা বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বন। বুধবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ ফর হিউম্যানিটি’র ১৬তম কমিটি বসেছিল বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা নির্ধারণে। পৃথিবীর সেরা ছয় বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত এই কমিটি বাছাই করে নিয়েছে বাংলার এই মনন আর প্রাণের উৎসবকে। গোটা বিশ্ব থেকে জমা পড়েছিল মোট ৪৮টি মনোনয়ন। তার মধ্যে সেরা হয়ে উঠেছে ‘মা দশভুজার আবাহন’। এদিন সন্ধ্যায় ওই স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর ইউনেস্কোর তরফে টুইট করে কলকাতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির বিষয়টি জানানো হয়। ইউনেস্কো লিখেছে, কলকাতার দুর্গাপুজো এই মাত্র ইনট্যানজিবল হেরিটেজ (অধরা ঐতিহ্য) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

যাঁর উদ্যোগে আঞ্চলিক ক্ষেত্র ছাড়িয়ে কলকাতা তথা বাংলার দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক আঙিনায় পৌঁছেছে, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর জন্য তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত আপ্তবাক্য—‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। কলকাতাকে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে ইউনেস্কো। তারা বলেছে, প্রান্তিক মানুষ, গোষ্ঠী এবং মহিলাদের এই উৎসবে বেশি মাত্রায় অংশগ্রহণ করিয়ে উদ্যোক্তারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করেন। উচ্ছ্বসিত মমতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন—‘খবরটা শুনে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে! মা দুর্গা আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ করেছেন। আমরা গর্বিত, আনন্দিত। বাংলা এখন প্রকৃত অর্থেই বিশ্ববাংলা হয়ে উঠল।’ নিজের এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসকে টুইট বার্তায় সবার সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছেন, ‘এই উৎসব একটা আবেগ, যা সবাইকে এক করেছে।’ গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শীর্ষ নেতারা বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না বলে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে কলকাতার এহেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তি নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন। পাল্টা টুইট করে মোদি-শাহকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘অমিত শাহ এবং বিজেপির সেইসব নেতাদের জন্য দু’মিনিট নীরবতা... তাঁরাই না বিধানসভা ভোটের আগে বাংলা সফরে এসে প্রচার করেছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না!’

No comments