Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৮৬০ পানীয় জল পরীক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৫ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ

৮৬০  জন কে পানীয় জল  পরীক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে  পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়  ১৫ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৭২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নলবাহিত পরিস্রুত পানীয়জল পরীক্ষা করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৮৬০জন আশাকর্মীকে নিযুক্ত করা …


 



 ৮৬০  জন কে পানীয় জল  পরীক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে  পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়  ১৫ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ


পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৭২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নলবাহিত পরিস্রুত পানীয়জল পরীক্ষা করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৮৬০জন আশাকর্মীকে নিযুক্ত করা হচ্ছে। তার আগে ১৫ডিসেম্বর তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস থেকে ইতিমধ্যে আশা কর্মীদের নামের তালিকা পিএইচই অফিসে পৌঁছে গিয়েছে। প্রাথমিক পর্বে ৮৬০জন আশাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর জেলার বাকি আশাকর্মীদের পরবর্তী ধাপে এজন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 

আশাকর্মীরা এবার থেকে নিজেদের সাধারণ ডিউটির পাশাপাশি ফিল্ড কিট ইউজার(এফটিকে) হিসেবে কাজ করবেন। হাতে পিএইচই দপ্তরের দেওয়া কিট নিয়ে তাঁরা গ্রামাঞ্চলে ঘুরে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে অনস্পট কিটের সাহায্যে টেস্ট করে অ্যাপে রিপোর্ট আপলোড করবেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৭২টি পঞ্চায়েতে নলবাহিত পানীয় জল পরিষেবা চালু আছে। ওইসব পঞ্চায়েতে পাঁচজন করে আশাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো হবে।


জানা গিয়েছে, প্রত্যেক আশাকর্মীকে একটি করে কিট দেওয়া হবে। একটি কিটে ৫০টি পর্যন্ত টেস্ট হবে। প্রত্যেক পঞ্চায়েত এলাকায় ২৫০টি টেস্ট হবে। কিটের সাহায্যে জলের গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। প্রতিটি টেস্টের জন্য আশাকর্মীরা ১০০টাকা পাবেন। এর আগে কেন্দ্রের জল জীবন মিশন স্কিমে নলবাহিত পানীয় জল টেস্ট করার জন্য ‘ফিল্ড কিট ইউজার’(এফটিকে) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাঁচজন মহিলাকে ওই কাজে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু, জেলায় জেলায় তালিকা তৈরি নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা হয়। বাধ্য হয়ে ফিল্ড কিট ইউজার নিয়োগ বাতিল করে রাজ্য সরকার আপাতত আশাকর্মীদের ওই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো গত ৩০অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছ থেকে আশাকর্মীদের নামের তালিকা সংগ্রহ করেছে পিএইচই দপ্তর। ইতিমধ্যে জেলাস্তরে মাস্টার ট্রেনাররা রাজ্যে গিয়ে এনিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তাঁরা এবার ব্লকে ব্লকে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। কীভাবে কিটের সাহায্যে জল পরীক্ষা করা যায় এবং সেই রিপোর্ট অ্যাপে আপলোড করা যাবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এতদিন ওয়াটার ফেসিলিটেটররা গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করানোর জন্য বিভিন্ন ল্যাবে পৌঁছে দিতেন। বিনিময়ে কমিশন পেতেন।  ২০০৮-’০৯সাল থেকে ওয়াটার ফেসিলিটেটররা ওই কাজ করছেন। এবার থেকে জলের নমুনা ল্যাবে নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়বে না। পরীক্ষা করানোর জন্য কিট সরবরাহ করা হবে। নমুনা সংগ্রহ করে সেখানেই টেস্ট করা হবে। সরকারি নির্দেশিকায় প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচজন করে আশাকর্মীকে ওই কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন ঠিক করেছে, জেলার সকল আশাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে তাঁদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওই কাজে লাগানো হবে। সবাই যাতে ফিল্ড কিট ইউজার এর কাজ করার সুযোগ পাবেন সেই বিষয়ে জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পিএইচই দপ্তর। পিএইচই দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শক্তিপদ মণ্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে ৮৬০জন আশাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারপর বাকি আশাকর্মীদেরও ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

No comments