Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ঠাঁই পেল বিশ্বভারতীর ছাত্রী স্রোতস্বিনীর জলবায়ু সংক্রান্ত আঁকা ছবি

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ঠাঁই পেল বিশ্বভারতীর ছাত্রী স্রোতস্বিনীর জলবায়ু সংক্রান্ত আঁকা ছবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে তাঁর আঁকা ছবি জায়গা করে নিল। তিনি বিশ্বভারতীর কলাভবনের স্নাতক স্তরের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী স্রোতস্বিনী …


 

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ঠাঁই পেল বিশ্বভারতীর ছাত্রী স্রোতস্বিনীর জলবায়ু সংক্রান্ত আঁকা ছবি 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে তাঁর আঁকা ছবি জায়গা করে নিল। তিনি বিশ্বভারতীর কলাভবনের স্নাতক স্তরের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী স্রোতস্বিনী সিনহা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এবারের সম্মেলনের থিম ‘‘টার্ন ইট অ্যারাউন্ড’এ বিশ্বের কয়েক হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে স্রোতস্বিনীর আঁকা ‘প্রকৃতি বনাম মানুষ’ সিরিজের একটি ছবি নির্বাচিত হয়। মাত্র ২১ বছর বয়সি কলকাতার বাসিন্দা স্রোতস্বিনীর এই সাফল্যে খুশি কলাভবনের অধ্যাপক সহ পড়ুয়ারা। এই সাফল্যের জন্য মা-বাবা ও কলাভবনের অধ্যাপকদের অবদানের কথা জানাতে ভোলেননি তিনি। 

সম্প্রতি ইউনেস্কোর ফিউচার অব এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ, আর্টিস্টস লিটারেসিস ইনস্টিটিউট এবং ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি দ্বারা ‘টার্ন ইট অ্যারাউন্ড ফ্লাশকার্ড’ তৈরি করা হয়েছে। গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালের রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৬ এ ‘টার্ন ইট অ্যারাউন্ড ফ্লাশকার্ড’এর সেটে বিশ্বের বিশ্বের ২৫বছরের কম বয়সি কয়েক হাজার শিল্পীর মধ্যে থেকে মাত্র ৮০জনের ছবি নির্বাচিত হয়। তার মধ্যেই স্রোতস্বিনীর ‘প্রকৃতি বনাম মানুষ’ সিরিজের একটি ছবি  নির্বাচিত ও প্রকাশিত হয়েছে। 

স্রোতস্বিনী কলাভবনের আর্ট হিস্ট্রির স্নাতক স্তরের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। ছোট থেকেই তিনি কালি, চারকোল, অ্যাক্রলিক, ডিজিটাল প্রিন্ট প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন বলে জানান। তাঁর এই শিল্প মনোভাবের অনুপ্রেরণা মা-বাবা। কারণ, দু’জনই শিল্পী। স্রোতস্বিনী বাবা কৃষ্ণেন্দু সিনহা কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ভিসুয়াল আর্টসের অতিথি অধ্যাপক। আর মা অপর্ণা সিনহা রাইগাছি উচ্চবিদ্যালয়ের কলা বিষয়ক শিক্ষিকা। তাঁদের সংস্পর্শে বড় হওয়ার ফলেই প্রকৃতি নিয়ে কাজ করতে ছোট থেকেই ভালো লাগত বলে তিনি জানান।স্রোতস্বিনী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার কথা জানতে পারি। করোনা সংক্রমণের জন্য আত্মশাসন পর্ব চলাকালীন বাড়ি বসে প্রচুর কাজ করেছি। এরমধ্যে ‘প্রকৃতি বনাম মানুষ’ বিষয়ক দশটি কাজের একটি সিরিজও রয়েছে। তার মধ্যে থেকে একটি ছবি টার্ন ইট অ্যারাউন্ড ফ্লাশকার্ডে প্রকাশিত হয়েছে।যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বংস হওয়ার পরও প্রকৃতি যেভাবে সহনশীলতা দেখিয়ে নিজেকে পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা দেখায়, বিশেষত ধ্বংসাত্মক বন্যা বা দাবানলের পর ছোট ছোট গাছপালা ও ফুল প্রস্ফুটিত হয়ে প্রকৃতি ফের বেঁচে থাকার সহনশীলতার পরিচয় দেয়- স্রোতস্বিনীর ছবিতে খুব সুন্দরভাবে তা তুলে ধরা হয়েছে। যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের কপ-২৬ এর এবারের থিমের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সেজন্যই সারা বিশ্বের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে তাঁর ছবি নির্বাচিত হয়েছে। যা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে স্রোতস্বিনীর দাবি। এটা তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম মাইল ফলক বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর এই সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের ভূমিকার পাশাপাশি কলাভবনের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য বলেও তিনি জানান। ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর শিল্পকেই নিজের কর্মজীবন হিসেবে বেছে নেওয়া কথা অকপটে জানান স্রোতস্বিনী

No comments