তপন কুমার জানা, মহিষাদল ঃমহিষাদল বাজারের "সবুজ ভান্ডার " -এর প্রোপাইটার- রনজিত মাইতি কে ভূয়ো অ্যামাজন কোম্পানির কিউ .আর কোড নম্বর মোবাইলে যুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করল দুই যুবক।
দূর্গা পুজোর আগে থেকে তিনজন যুবক প্রতিনিয…
তপন কুমার জানা, মহিষাদল ঃমহিষাদল বাজারের "সবুজ ভান্ডার " -এর প্রোপাইটার- রনজিত মাইতি কে ভূয়ো অ্যামাজন কোম্পানির কিউ .আর কোড নম্বর মোবাইলে যুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করল দুই যুবক।
দূর্গা পুজোর আগে থেকে তিনজন যুবক প্রতিনিয়ত মহিষাদল বাজার --এর প্রতিষ্ঠিত রাসায়নিক সার ব্যবসায়ী রনজিত মাইতির দোকানে আসা-যাওয়া করত। রনজিৎ মাইতির বাড়ি মহিষাদল থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামে।মহিষাদল বাজারে "সবুজ ভান্ডার "নামে একটি রাসায়নিক সারের দোকান আছে রনজিতের । তিন যুবকের উদ্দেশ্য ছিল অ্যামাজন কোম্পানির ভূয়ো পেমেন্ট Q R. CODE(Amazon Payment ) রনজিৎ মাইতির মোবাইল ফোনে যুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করা। গত ইং 19 নভেম্বর 20 21 শুক্রবার, সকাল 9 টার সময় দুই যুবক রঞ্জিতের দোকানে উপস্থিত হয় । তাদের বাড়ি তমলুকের ময়নায় বলে জানায় ।
বিজ্ঞাপন
"সবুজ ভান্ডার "--এর প্রোপাইটার রনজিৎ মাইতি এদিন রাজি হয়ে তাদেরকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মহিষাদল শাখার অ্যাকাউন্ট পাস বই এর নম্বর এবং এটিএম কার্ড সহ যাবতীয় কাগজপত্র দেয়। তারা সবুজ ভান্ডার রাসায়নিক সার দোকানের দেওয়ালে অ্যামাজন কোম্পানির কিউ আর কোড এর প্রতীক চিহ্ন দেওয়ালে মেরে দেয়। দোকানে ওই সময় রাসায়নিক সার কিনার জন্য খরিদদারদের ভিড় ছিল। বলে জানিয়েছেন রনজিৎ মাইতি। খামের ভেতর যাবতীয় কাগজপত্র রনজিতের হাতে দিয়ে দুই যুবক পালিয়ে যায়। মহিষাদল SBI শাখার রনজিৎ মাইতির নামিত এটিএম কার্ড তারা নিয়ে পালিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই 10 +10 কুড়ি হাজার টাকা তুলে নেয় ।
বিজ্ঞাপন
তারপর 25 হাজার এবং 20 হাজার টাকা তুলে নেয়। সব মিলিয়ে 65 হাজার টাকা এ .টি.এম কার্ড থেকে আত্মসাৎ করে । সবুজ ভান্ডারের প্রোপাইটার রনজিত মাইতি কে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি অচল এটিএম (ATM )কার্ড খামের মধ্যে পুরে দিয়ে যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাইবারক্রাইম পুলিশ স্টেশনে( Cyber Crime Police station, Purba Medinipur) লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন রনজিত মাইতি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনের আই.সি স্বজন সোম--এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে --তিনি বলেন ঘটনার তথ্য লিখিতভাবে পেয়েছি। তদন্তের জন্য কেস রুজু করা কাজ হয়েছে। এই ধরনের আরেকটি চিট কে হলদিয়া ব্রজলাল চক মোড়ের " মিসেস ধাড়া মিষ্টান্ন ভান্ডার "-- এর মালিক নবকুমার ধাড়ার ক্ষেত্রে ঘটেছে।
No comments