Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রতিদিন সব শ্রেণির ক্লাস নয়

প্রতিদিন সব শ্রেণির ক্লাস নয়। শিক্ষাঙ্গণ খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষকমহলের প্রবল চাপে নিয়ম বদল করতে হল পর্ষদকে। রবিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সোম, বুধ এবং শুক্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। আর মঙ্…

 






 প্রতিদিন সব শ্রেণির ক্লাস নয়। শিক্ষাঙ্গণ খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষকমহলের প্রবল চাপে নিয়ম বদল করতে হল পর্ষদকে। রবিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সোম, বুধ এবং শুক্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। আর মঙ্গল এবং বৃহস্পতি হবে নবম ও একাদশের ক্লাস। শনিবার কোনও ক্লাস হবে না। আজ, সোমবার থেকেই তা কার্যকর করতে হবে। স্কুল খোলার তৃতীয় দিন থেকে পড়ুয়াদের হাজিরা কমতে থাকাও জোড়-বিজোড় ফর্মুলা শুরু করার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। মনে করা হচ্ছে, দশম এবং দ্বাদশের পড়ুয়ারা যেহেতু মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে বসবে, তাই তাদের বেশিদিন ক্লাস দেওয়া হয়েছে। শনিবার ক্লাস না হলেও অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক, মূল্যায়ন এবং সচেতনতামূলক প্রচারের কাজ করা যাবে।

মঙ্গলবার থেকে খুলেছে স্কুল। তখন ফর্মুলা ছিল, নবম এবং একাদশের ক্লাস হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। আর বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত চলবে দশম ও দ্বাদশের ক্লাস। শুধু তাই নয়, নবম এবং একাদশের পড়ুয়াদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্কুলে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ ছিল। শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশিকায় শিক্ষকদের ক্লাস শুরু এক ঘণ্টা আগে ঢুকতে বলা হয়েছিল। এসব নিয়ে শিক্ষক মহলে বেশ অসন্তোষ ছিল। শুক্রবার শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে ডিআই এবং প্রধান শিক্ষকদের ভিডিও বৈঠকেও ইস্যুটি জোরালোভাবে ওঠে। তারপরই এই নয়া সিদ্ধান্ত।

শিক্ষক সংগঠন এসটিইএ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও দাবি করেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পরিকাঠামোর কথা বিচার করে স্কুল কবে, কোন ক্লাস বা সেকশনকে আনবে, সেটা প্রধান শিক্ষকদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সহকারী প্রধান শিক্ষক সংগঠন সিএএইচএইচের বক্তব্য, এই নির্দেশিকা অনেক বেশি বাস্তবোচিত। তবে, ফেব্রুয়ারিতে যখন স্কুল খুলেছিল, তখনকার মতো স্বাভাবিক সময়ে পঠনপাঠন চালানোর বিজ্ঞপ্তি দিলেই এই সমস্যা এড়ানো যেত। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ মনে করছে, দিন প্রতি স্কুলের সময়সীমা কমিয়ে প্রতিদিন ক্লাস হলেই ভালো হতো। নাহলে বিষয়টি স্কুলের হাতে ছেড়ে দেওয়া যেত। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণ চাতরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ক্লাসে পড়ুয়া আনতে পঞ্চায়েত এবং প্রাক্তনীদের দিয়ে প্রচার চালাতে হচ্ছে। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও বাড়াতে হচ্ছে। এবার কী হয় দেখা যাক। মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের শিক্ষক বলেন, চারটি ক্লাস মিলিয়ে আমাদের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৩৭০০। প্র্যাকটিক্যাল এবং সিলেবাস শেষ করতে আমরা শনিবারও ক্লাস করাব বলে ভাবছি।

No comments