বানভাসি ভগবানপুরে খাদ্যসামগ্রী-ঔষধ-পানীয় জল পৌঁছানোর মাধ্যমে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল হলদিয়া আই,ও, সি রিফাইনারীর এমপ্লয়িজ ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন -সহযোগিতায় হলদিয়া সংশপ্তক আর্ট এন্ড কালচারাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি;-:;নিম্নচাপের টানা …
বানভাসি ভগবানপুরে খাদ্যসামগ্রী-ঔষধ-পানীয় জল পৌঁছানোর মাধ্যমে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল হলদিয়া আই,ও, সি রিফাইনারীর এমপ্লয়িজ ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন -সহযোগিতায় হলদিয়া সংশপ্তক আর্ট এন্ড কালচারাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি;-:;নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বিপদ সীমার অনেক ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কেলেঘাই,কপালেস্বরী, বাগুই, আর তার ফলে পটাশপুর ও ভগবানপুর এখন জলের তলায় পৌঁছে গিয়েছে।রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে প্রবল স্রোত।ঘরের ভেতরেও কোমর সমান জল-এরকম ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি এখানকার আমজনতা।
খাদ্য নেই,জল নেই,বিদ্যুৎ নেই ,,নেই রাজ্যের বাসিন্দা তারা।খানা-খন্দ, পুকুর-ডোবা ছাপিয়ে জল রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে বইছে,আর কোমর সমান জল পার হয়ে একদল অকুতোভয় কর্মচারী সব বাধা -বিঘ্ন কে মুছে ফেলে ওই ক্ষুধার্থ মানুষগুলোর কাছে ছুটে গিয়েছেন।এভাবেই বোধহয় মানুষ মানুষের পাশে থাকে বা থাকতে চায়।হলদিয়া থেকে 100km দূরে ভাঙা-চোরা, জলে ডোবা রাস্তার ওপরদিয়ে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন সংস্পটকের সদস্যরা।আই,ও,সি,এমপ্লয়িজ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যরা বললেন, ' এখানে না এলে বুঝতে পারতামনা কি অসহায়তার সাথে দিনযাপন করছেন ভগবান পুরের অগণিত মানুষজন।সরকারি সাহায্য সে তো নগন্য,সিন্ধুতে বিন্দুর মতো।জল-যন্ত্রণার যে ছবি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম তা খুবই অসহনীয়'।সংশসপ্তকের কর্ণধার কুনাল নন্দ বললেন,"টিভি ও খবরের কাগজ থেকে বুঝতে পারছিলাম পরিস্থিতি খুবই খারাপ ,কিন্তু এতটা খারাপ ও মানুষের এই করুন অবস্থা করুন পরিনতিতে পৌঁছেছে ,তা বুঝতে পারছিলাম না।আর কিছু প্রচার ও বিজ্ঞাপন দেখেছি নানা ঘোষণার,কিন্তু প্রশাসনিক বিজ্ঞাপনের ,প্রচারের কতটুকু মানুষ পেয়েছে বা পাবে?শুধুই কি উপনির্বাচনের ঢক্কানিনাদ!"মানুষ বড় কাঁদছে" ,একি শুধু কবিতার লাইন!,কান্নার আওয়াজ কোথাও পৌঁছেছে কি?আমাদের এই সহযোগিতা সানন্দে গ্রহণ করেছে এখানকার সমস্ত সহ নাগরিক বৃন্দ,কিন্তু আমরা কতটুকু করতে পেরেছি?এদের অসহায়তার দৃশ্য চোখে দেখা যাচ্ছেনা,আমরাই কেঁদে ফেলছি।কেন্দ্র-রাজ্য চাপান উতর, বাঁধ-জলাশয় তর্ক-বিতর্ক,ভারী বৃষ্টি-ঝাড়খণ্ডের জল এসব শুনে এই মানুষগুলো কি করবে?এদের এই অবস্থা কি ফি বছর হতেই থাকবে?এসব প্রশ্ন করছেন ভগবানপুরের মানুষেরা, তারাও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন বাঁচার ,আর তারাও প্রস্তুত হচ্ছেন ঘুরে দাঁড়ানোর ।"এই চারিদিকে জল,শুধু জল আর জল ,এ জলের শেষ নেই তার মাঝে ডুবে আছে মাটির বাড়ি,রাস্তা ,মন্দির-মসজিদ আর আপামর সাধারণ মানুষের ভাগ্য।হাওয়া অফিস বলছে নিম্ন চাপের মেঘ সরে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মত মেঘ ঘুরছে আর ঝলমলে রৌদ্রোকরোজ্জ্বল আবহাওয়া,তবে বানভাসি মানুষগুলোর জীবনে আর বোধহয় রোদঝলমলে দিন আসবেনা।বন্যা "ম্যানমেড" কি ম্যানমেড নয় ,তা জেনে কি হবে এই মানুষ গুলোর যারা রাস্তার ওপর ত্রিপল টাঙিয়ে কোনরকমে জীবন কাটাচ্ছেন!সরকার বাহাদুর কি আকাশযান থেকে মাটির পৃথিবীর এই দুর্দশা দেখতে পাবেন?সত্যি হল আমাদের সহ-নাগরিকেরা আজ বিপন্ন ,বিপন্ন তাদের জীবন।তবে আমরা,আমরা আজ এসেছি ভগবানপুরে,আবারো কোনো বন্যা-কবলিত এলাকায় যাবো,আমরা আছি এদের সাথে-জীবন সংগ্রামের পথে।
No comments