পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাবলিক হেলথের ডিসট্রিক্ট ম্যানেজার নবমিতা ভট্টাচার্য, তার স্বামী দেবাশীষ দাস বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক । এহেন দম্পতি পাঁশুকুড়ার মেচগ্রামে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন।২০১৮ থেকে নবমিতাদের ফ্ল্যাটে পরিচারি…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাবলিক হেলথের ডিসট্রিক্ট ম্যানেজার নবমিতা ভট্টাচার্য, তার স্বামী দেবাশীষ দাস বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক । এহেন দম্পতি পাঁশুকুড়ার মেচগ্রামে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন।২০১৮ থেকে নবমিতাদের ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করে আসছে স্থানীয় কল্পনা সেন নামে বছর পঞ্চাশের এক মহিলা।গত বছর নভেম্বর মাসে একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন নবমিতা।মেদিনীপুরের বাবার বাড়িতে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে মে মাসে ফের ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন নবমিতা।নবমিতার স্বামী দেবাশিস প্রতি শনিবার ফ্ল্যাটে আসেন। কয়েক মাস আগে পরিচারিকা কল্পনার আচরনে কিছু সন্দেহ দেখা দেওয়ায় ওই দম্পতি তার অলক্ষে ফ্ল্যাটের মধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগান। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ নবমিতার স্বামী দেবাশিস মেয়েকে দেখার জন্য বাঁকুড়া থেকে নিজের মোবাইলে অনলাইনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন।সেই সময় দেবাশিস দেখতে পান ওই পরিচারিকা তাঁর একরত্তি শিশুর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে।ভিডিওতে দেখা যায় ওই পরিচারিকা কখনও শিশুটির পায়ে ধরে বিছানার ওপর আছাড় মারছে।কখনও আবার শিশুটির শরীরে সজোরে আঘাত করছে । দেবাশীষ বাবু স্ত্রীকে পুরো বিষটি জানান। কিন্তু নবমিতাদেবী তখন কাজের জন্য কাঁথিতে ছিলেন। পরে দেবাশীষ বাবুও ফিরে আসেন। শুক্রবার পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত পরিচারিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজকে তাকে তমলুক আদালতে তোলা হবে।
No comments