মনের ভাব ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়।সে আমার হৃদয়ের জানালা পাশে উঁকিঝুঁকি দেয়;দেখেছি তাকে স্নানঘরে দুপুরের স্বচ্ছ ধারায়,শুনেছি তার বধির কলরব প্রতিকূল প্লাবিত শরীরে,কখনও বা স্খলিত অধরে,উচ্চারিত মুখবন্ধে,কখনও বা পক্ককেশ স্থিতপক্ক কবির নির…
মনের ভাব ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়।
সে আমার হৃদয়ের জানালা পাশে উঁকিঝুঁকি দেয়;
দেখেছি তাকে স্নানঘরে দুপুরের স্বচ্ছ ধারায়,
শুনেছি তার বধির কলরব প্রতিকূল প্লাবিত শরীরে,
কখনও বা স্খলিত অধরে,
উচ্চারিত মুখবন্ধে,
কখনও বা পক্ককেশ স্থিতপক্ক কবির নির্মাণে,
সে ঝুঝতে চায় আমার রোদ্দুরকে।
আমার সুনীলাকাশে সে ভাসতে চায়-
খোলা হাওয়ায় সে ডানা মিলতে চায়-
মেঘ-কুয়াশার ভিতর-
শুধু সে দিতে চায় তার হালকা পালক।
পারে না পারে না বলেই-
খাঁচার ভিতর সে পাখী গুমরে মরে,-
সে কিচিরমিচির করে-
আমার অর্নগল মুখরতা নিয়ে।
সেই মুখ-
সেই চঞ্চল চপলতা-
সেই রংবাহারী কথা-
তবু যেন বাগ্ময় হতে পারে না!
সে যে মৌনমুখর;
কখনও বেদনাবিধুর রসে সমুজ্জ্বল,
কখনও উদ্বেগে আকূল ভয়েতে কাতর,
আসলে সেখানে সুরের আলাপন কই?
যে সুর ফুলের সৌরভ হয়ে মিশে যাবে বাতাসের বুকে;
সে যে খাঁচায় বন্দী!
খাঁচা ভাঙার বন্ধু চাই,
আকূল করা সখা চাই,
সুর জানার সূজন চাই,
জীবনের ক্লান্তিতে-
নিরালায় ভাগ করে নেওয়া যায়,
অভিমানী হৃদয়ের আকুলতা;
শুধু মনের মিতালী দিয়ে।
No comments