Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নিম্নচাপের জেরে উত্তাল দীঘার সমুদ্র

নিম্নচাপের জেরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল দীঘার সমুদ্র। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে গার্ডওয়াল টপকে ভাসল মেরিন ড্রাইভ। সকাল থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই উৎসাহী পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভের রাস্তায় সমুদ্রের জলোচ্ছ…

 




নিম্নচাপের জেরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল দীঘার সমুদ্র। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে গার্ডওয়াল টপকে ভাসল মেরিন ড্রাইভ। সকাল থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই উৎসাহী পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভের রাস্তায় সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস উপভোগ করেন। আজ, মঙ্গলবার নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার কোটালের যুগলবন্দিতে সমুদ্র আরও উত্তাল হতে পারে। তার জন্য প্রশাসন আগেভাগে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর দীঘা উপকূলে সতর্কতা জারি করেছিল। সম্প্রতি পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনার পর এদিন দীঘার বিভিন্ন ঘাটে ছিল সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিসের কড়া নজরদারি। সোমবার দীঘায় পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই কম ছিল। উইক এন্ডের ছুটি কাটিয়ে রবিবার বিকেলে এবং সোমবার সকালে বেশিরভাগ পর্যটক ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু নিম্নচাপে সমুদ্রের বিধ্বংসী রূপ দেখার জন্য বেশকিছু পর্যটক থেকে যান। ওই সব পর্যটক এদিন সকালে জোয়ারের সময় সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখার জন্য বিভিন্ন ঘাটে জড়ো হন। নিউ দীঘার হলিডে হোম ঘাটে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের প্রাথমিক শিক্ষক অবনীমোহন মাইতি ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমুদ্রের রুদ্ররূপ উপভোগ করছিলেন। ঝোড়ো হাওয়ায় ছাতা দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা! ওল্ড দীঘার বিশ্ববাংলা ঘাটে গার্ডওয়ালের উপর দাঁড়িয়েছিল দুই স্কুল ছাত্রী কোলাঘাট থানার শান্তিপুরের দিগন্তিকা মাইতি ও অমৃতা জানা। সঙ্গে ছিলেন তাদের অভিভাবকরা। ঢেউ গার্ডওয়াল টপকাতেই দুই কিশোরী ভয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতে পড়ে গিয়ে অল্প চোট পায়।

আজ, মঙ্গলবার থেকেই দীঘা-হাওড়া স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হচ্ছে।  দীঘার হোটেল মালিক থেকে সাধারণ দোকানদাররা মনে করছেন, হাওড়া-দীঘা ট্রেন চালু হচ্ছে। তাই এবার পর্যটক সংখ্যা বাড়বে। মঙ্গলবারও নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এদিন নিউ দীঘার কর্মরত সিভিল ডিফেন্স কর্মী সৌমেন ঘোড়াই বলেন, রবিবার রাত থেকে দীঘায় বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকালে নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়। এখন পর্যটক সংখ্যা কম। কিন্তু, উৎসাহী পর্যটকরা নিম্নচাপে দীঘার অনবদ্য রূপ দেখার জন্য বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সমুদ্রের ধারে চলে এসেছিলেন। কয়েকদিনে পরপর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দিই। পর্যটকদের নিরাপত্তার আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার হলিডে হোমের ম্যানেজার দিলীপকুমার ভুঁইঞা বলেন, এদিন জলোচ্ছ্বাসের জেরে সমুদ্রের জল গার্ডওয়াল টপকে মেরিন ড্রাইভে উঠে আসে। তবে, পর্যটক সংখ্যা কম ছিল। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় দীঘায় পর্যটক সমাগম আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি। উইক এন্ডে কিছুটা ভিড় হচ্ছে। মে মাস থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আজ, সোমবার থেকে স্পেশাল ট্রেন চলছে। আমাদের আশা, ট্রেন চলাচল শুরু হলেই পর্যটক সংখ্যা অনেকটা বাড়বে। আমরা রয়েছিল সেই দিনের অপেক্ষায়।

No comments