কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরোলো।চিৎপুরের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সেবায়েত হলেনসাবর্ন রায়চৌধুরী পরিবারের বংশধর এটাই ইতিহাসে লেখা আছে।কিন্তু চাক্ষুস ইতিহাস ও দলিল বলছেএইটি সম্পুর্ন মিথ্যে। আমরা কথা বলেছিলাম শিমলাই পরিবারের সাথে। বাড়িটির ঠি…
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরোলো।
চিৎপুরের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সেবায়েত হলেন
সাবর্ন রায়চৌধুরী পরিবারের বংশধর এটাই ইতিহাসে লেখা আছে।
কিন্তু চাক্ষুস ইতিহাস ও দলিল বলছে
এইটি সম্পুর্ন মিথ্যে। আমরা কথা বলেছিলাম শিমলাই পরিবারের সাথে। বাড়িটির ঠিকানা ১৭
শিমলাই পাড়া লেন। (পাইকপাড়া)এনারাই হলো
ওই সর্বমঙ্গলা মন্দিরের বংশপরম্পরায় পুরোহিত।
কিন্তু সারা ইন্টারনেটে লেখা আছে রায়চৌধুরী পরিবারের কথা। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে যখন চিৎপুর রোডে ডাকাত ও বাঘের উৎপাত ছিল ,সেই সময়ে রামচরন শিমলাই পাইকপাড়া গ্রামে মাটির বাড়িতে বসবাস শুরু করলেন,১৫ শতকের শেষে। এটাই ইতিহাস ,কিন্তু চৌধুরী পরিবারের সাথে কালীঘাটের মন্দির নির্মানের প্রক্রিয়া যুক্ত। ওনাদের ঐখানে নিশ্চই অবদান আছে। কিন্তু চিত্তেশ্বরী মন্দিরের সাথে ওদের কি সম্পর্ক। যদি সম্পর্ক থেকেই থাকে তাহলে সেটা
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে হতে পারে। কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো চিৎপুরের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ইতিহাসে শিমলাই পরিবারের নাম নেই।
সারা গুগল খুজুন ওঁদের নাম পাবেন না।কেন এই প্রবঞ্চনা।
ইতিহাসবিদ হরিপদ ভৌমিক এর মত আমার ও
বলতে ইচ্ছে করছে পারিবারিক ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য ইতিহাস বিকৃত হচ্ছেনা তো।
কালীঘাটের মন্দিরের ইতিহাস অনেক টাই জনশ্রুতির ও কিংবদন্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু চাক্ষুস প্রমান নেই।
কিন্তু চিত্তেশ্বরী মন্দিরের ব্যাপারে শুধু জনশ্রুতি
বললে হবেনা, কারণ আজও শিমলাই পরিবার জীবিত আছে,প্রমান হাতের কাছে।
আমি এই ইতিহাস বিকৃতির বিরোধিতা করি।
আমি এই প্রশ্ন বার বার তুলবো।
আশ্চর্য ব্যাপার হলো কোনো ঐতিহাসিক খোঁজ করে পেলেন না শুধু বই পড়ে আর জনশ্রুতি শুনে
বলে দিলেন সব।১৬১০ এই মন্দির তৈরি। জমিদার মনোহর ঘোষ এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা, পরে সংস্কার করেন জমিদার গোবিন্দরাম মিত্র।
এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্ন দুইটি এই মূর্তি কে প্রথম খুঁজে পেলেন আর কে প্রথম সেবায়িত।
ইতিহাস বলছে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে
এই মূর্তি খুঁজে পেয়েছেন। কে এই নৃসিংহ ব্রহ্মচারী,? রামচরন শিমলাই বলছেন উনি প্রথম
স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই নিম কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরি করেন। কোনটি সত্যি। আবার বিচারের প্রয়োজন আছে,বলে দিলেই হবে না আর বইয়ে লিখলে সত্য নয়,চাক্ষুস প্রমান বা দলিল চাই।
বিশ্বাস করে নিলেন ঐতিহাসিক বিনয় ঘোষ,জনশ্রুতি অনুযায়ী। কিন্তু আজ জবাব দিতে হবে কোনটি সত্যি।
আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো
কারণ ইতিহাস সত্য খোঁজে এবং সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে।
নিচের ছবি টা দেখুন।
তথ্য সূত্র
পৃষ্ঠা ২২
ভক্তের ভক্তি মা চিত্রেস্বরী
No comments