Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দুয়ারে সরকারের আদলে দুয়ারে দুর্গা

দুয়ারে সরকার। রাজ্যের জনপ্রিয় এই প্রকল্প ঘিরে সাধারণ মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। এক ছাতার নীচেই মিলছে একাধিক সরকারি সহায়তা। যার জন্য মাঝরাত থেকে পড়ছে লম্বা লাইন। আর এই প্রকল্প ঘিরে জনগণের উদ্দীপনা থেকেই ভাবনাটি প্রথম মাথায় আসে। সেই কার…

 



দুয়ারে সরকার। রাজ্যের জনপ্রিয় এই প্রকল্প ঘিরে সাধারণ মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। এক ছাতার নীচেই মিলছে একাধিক সরকারি সহায়তা। যার জন্য মাঝরাত থেকে পড়ছে লম্বা লাইন। আর এই প্রকল্প ঘিরে জনগণের উদ্দীপনা থেকেই ভাবনাটি প্রথম মাথায় আসে। সেই কারণেই সাবেকি পুজোর ধারা বদলে থিমের পথে হাঁটা। জানালেন নরেন্দ্রপুরের এলাচি নস্করপাড়া একতা সঙ্ঘের পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা রাজা বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘গত ১১ বছর ধরে আমাদের পুজো ছিল সাবেকি। এবার থিম পুজো—দুয়ারে সরকারের আদলে দুয়ারে দুর্গা। ভিড় এড়াতে মূল গেট হবে ২২ ফুট চওড়া।’ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য একাধিক কাউন্টার থাকে। ঠিক সেই ধাঁচেই তৈরি হবে মণ্ডপ। মাঝে থাকবেন মা দুর্গা। তবে কাউন্টারগুলিতে সরকারি কোনও প্রকল্পের নাম থাকবে না। সেখানে মানুষের ভিড় দেখানো হবে মাটির পুতুল দিয়ে। 

নরেন্দ্রপুরের গ্রিন পার্ক সার্বজনীন পুজোর থিমও এবার ‘দুয়ারে দুর্গা’। করোনা আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্ন-বস্ত্র দিয়ে আশ্রয় দিচ্ছেন মা দুর্গা। থিমের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। রয়েছে ঐতিহ্যের ছোঁয়াও। মণ্ডপে থাকবে আরও একটি সাবেকি ধাঁচের প্রতিমা। প্যান্ডেলের ভিতরে থাকবে পাঁচটি টানেল। যার মধ্যে ধরা থাকবে ব্রাজিলের আমাজনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, করোনাকালে মানুষের অসহায়তা, বন্যা, করোনার অবসানে মাস্কের ঘেরাটোপ থেকে মানুষের মুক্তি ও বিশ্বের সাতটি আশ্চর্য। পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, ৬২তম বছরে পুজোর জন্য বরাদ্দ ১৫ লক্ষ টাকা। যা গতবারের থেকে ৩ লক্ষ কম।

পুজোর সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে একটি নাম—ভ্রমণ। করোনার জেরে সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত বহু মানুষ। সেই দুঃখ কিছুটা লাঘব করতে উদ্যোগী হয়েছে এলাচি রামচন্দ্রপুর মিলন সঙ্ঘ। তামিলনাড়ুর মীনাক্ষী মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। তিনদিক খোলা প্যান্ডেলের উচ্চতা ১০০ ফুট। চওড়া ৮০ ফুট। দক্ষিণ ভারতীয় ভাস্কর্যের ছোঁয়া থাকবে মা দুর্গার 

মধ্যে। বাজেট ২৪ লক্ষ টাকা। সম্পাদক সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘করোনার জেরে গত বছর বিশেষ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পুজো হয়নি। 

এবার আমাদের ৭৫তম বছর। তাই বাজেট বাড়াতে হয়েছে।’

থিম পুজোর রমরমাতেও নিজেদের সাবেকিয়ানা ধরে রেখেছে গড়িয়া নবদুর্গা। সংক্রমণের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে জমিদারবাড়ির দালানের আদলে তৈরি মণ্ডপের তিনটি দিকই খোলা রাখা হচ্ছে। মণ্ডপে থাকবে ন’টি দুর্গামূর্তি। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা 

অভ্র মুখোপাধ্যায় জানান, গত বছর বাজেট ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ। পুজোর দিনগুলিতে নানা সামাজিক উদ্যোগও নিয়েছেন গড়িয়া নবদুর্গা মিতালী সঙ্ঘের সদস্যরা। 

No comments