Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চলতি মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৮ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলার করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ

সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৮ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলার করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলায় পাঁচ পুরসভা এলাকায় মহিলাদের ভ্যাকসিন প্রায় শেষের পথে। গ্রামীণ এলাকায় মহি…

 





সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৮ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলার করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলায় পাঁচ পুরসভা এলাকায় মহিলাদের ভ্যাকসিন প্রায় শেষের পথে। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের অনেকের ভ্যাকসিন এখনও বাকি। চলতি মাসেই সেই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে রবিবার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন। যদিও গত দু’দিন ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। যে কারণে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় ভ্যাকসিন ফুরিয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলায় দু’-একদিন পর ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাবে। টিকার সরবরাহ না থাকলে আবারও ক্যাম্প আয়োজন করতে সমস্যা হবে।গত ৫সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং এএনএম কর্মীদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ভ্যাকসিনের কুপন বিলি শুরু হয়। ৬সেপ্টেম্বর থেকে শুধুমাত্র ১৮ঊর্ধ্ব মহিলাদের প্রথম ডোজ এবং প্রথম ডোজের মেয়াদ শেষ হওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০থেকে ৬০হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সেপ্টেম্বর মাসেই ১৮ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলার টিকাকরণ সেরে ফেলতে চেয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু, ভ্যাকসিনের জোগান এখন ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে, কুপন দেওয়ার পরও মহিলাদের একটা অংশ ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। তমলুক পুরসভায় ৯৬শতাংশ মহিলার ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এখনও প্রায় ১৪০০ মহিলা টিকা নিতে বাকি রয়েছেন। আশাকর্মীরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি কুপন নিয়ে গেলেও তা প্রত্যাখান করছেন। কেউ কেউ আশাকর্মী দেখে লুকিয়ে পড়ছেন। একই ছবি এগরা পুরসভাতেও। সেখানেও বেশকিছু মহিলা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন। পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের বোঝানো হচ্ছে বলে পুরবোর্ডের প্রশাসক স্বপনকুমার নায়ক জানিয়েছেন।পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলার অধীনে ১৪টি ব্লক ও চারটি পুরসভা এলাকায় প্রতিদিন ৩০-৩৫হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৭লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ওই স্বাস্থ্যজেলায় মোট ৩৪লক্ষ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। দু’টি করে ডোজের হিসেবে মোট প্রয়োজন ৬৮লক্ষ টিকা। তারমধ্যে ১৭লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ১৮ঊর্ধ্ব সকল মহিলাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হলদিয়া, তমলুক ও এগরা পুরসভা এলাকায় মহিলাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে।

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার অধীনে ১১টি ব্লক এবং কাঁথি পুরসভা এলাকা রয়েছে। ১৮ঊর্ধ্ব মোট ১৬লক্ষ জনসংখ্যা। তাঁদের মধ্যে ১২লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী কাঁথি পুরসভা এলাকায় প্রায় সকলের ভ্যাকসিন হয়েছে। এখন গ্রামীণ এলাকা থেকে মানুষজন ভ্যাকসিন নিতে কাঁথি শহরে যাচ্ছেন। শনি ও রবিবার নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় ভ্যাকসিন ছিল না। এনিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য ষড়ঙ্গী রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কেন্দ্র থেকে জোগান না থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে সিএমওএইচ জানান। রাজ্যের মধ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভোটার তালিকা ধরে সিরিয়াল অনুযায়ী ভ্যাকসিনের কুপন বিলি শুরু হয়। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে প্রশাসন আশাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী এবং এএনএম কর্মীদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি কুপন পৌঁছে দেয়। স্কুলেই ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ভ্যাকসিনের জোগান নিয়ে সমস্যা না হলে আগামী ৩০সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জেলায় ১৮বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেক মহিলাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা প্রশাসনের।

No comments