২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল কাঠের সেতু। জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে সেটি। তাই বর্তমানে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। সেই নৌকা করেই ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করে চলেছেন চন্দ্রকোনা ২নম্বর ব্লকের ১ নম্বর ভগবন্তপুর গ্রা…
২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল কাঠের সেতু। জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে সেটি। তাই বর্তমানে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। সেই নৌকা করেই ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করে চলেছেন চন্দ্রকোনা ২নম্বর ব্লকের ১ নম্বর ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন।
কয়েকদিন আগেই ভারী বৃষ্টি ও ব্যারেজের ছাড়া জলে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর একাধিক বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল চন্দ্রকোনা। চন্দ্রকোনা ১নম্বর ও ২নম্বর ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। চন্দ্রকোনা ২নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদীর উপর কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে। এছাড়াও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপোতা গ্রামে কেঠিয়া ও কানা নদীর সংযোগস্থলে থাকা অপর একটি কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেঙে যায়। ফলে ওই এলাকার মানুষজন চরম ভোগান্তির শিকার।
নদী তীরবর্তী ভগবন্তপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের মানুষের জরুরী পরিষেবা থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বিঘ্নিত হচ্ছে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছিল চৈতন্যপুর ও ধরমপোতা এলাকার কাঠের সেতু। বন্যায় এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ২৫-৩০টি গ্রামের মানুষ।
পাশাপাশি এই দুই সেতুর ওপর দিয়ে চলত ছোট চারচাকার যানবাহন। বর্তমানে তা সম্পূর্ণ বন্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে শুরু করে জরুরী পরিষেবার ক্ষেত্রে এখন হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। চৈতন্যপুর ও ধরমপোতা দুই জায়গায় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করেছে বলে জানা যায়। নৌকায় সাইকেল মোটরসাইকেল চাপিয়ে চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। তাদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ভেঙে পড়া গুরুত্বপূর্ণ ২টি কাঠের সেতু মেরামত করে যাতায়াতের উপযুক্ত করে তুলুক।
এই বিষয়ে ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল সরকার সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এই সেতুগুলি নিয়ে আমরা রিপোর্ট পাঠিয়েছি। ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে আসা রাজ্যের সেচ ও নিকাশি বিভাগের প্রধান সচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস মিলেছে জেলা পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত এই সেতুগুলি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।
No comments