Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শিক্ষকদিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি !" প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিবসে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম

"শিক্ষকদিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি !" প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিবসে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম ।        ( My tributes to teachers            in the Teachers' Day !)1) Who is a teacher ?Ans : "A teac…

 





"শিক্ষকদিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি !" প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিবসে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম ।

        ( My tributes to teachers 

           in the Teachers' Day !)

1) Who is a teacher ?

Ans : "A teacher is a person who knows exactly what he or she is supposed to deliver to the students, a person who can arouse hunger of learning in the minds of students, a person who can explain the lesson in the language and capability of the students, a person who can truly evaluate the standard of his students !-----Jhon Milton Gregory (The Seven Laws of Teaching)

শিক্ষক কাকে বলবো?

উত্তর: "শিক্ষক তিনি যিনি জানেন ছাত্রছাত্রীদের প্রতি তাঁর কি দেবার আছে, শিক্ষক তিনি যিনি জানেন কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের মনে জ্ঞানের স্পৃহা জাগাতে হয়, শিক্ষক তিনি যিনি ছাত্রছাত্রীদের ভাষায় ও জ্ঞানের সাথে সঙ্গতি রেখে উন্নত শিক্ষা প্রদান করতে পারেন, শিক্ষক তিনি যিনি ছাত্রছাত্রীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন !" 

        ---জন মিলটন গ্রেগরি(আমেরিকান শিক্ষাবিদ)


২) "Teachers should be the best minds in the country!" 

         ---Dr.S.Radhakrishnan    


" শিক্ষকদের হওয়া উচিৎ  সবচেয়ে উন্নত মানসিকতার মানুষ !"--ড:সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ

উপরে উদ্ধৃত এই উপদেশগুলির প্রথমটি আমেরিকান শিক্ষক জন মিলটন গ্রেগরি সাহেবের আর দ্বিতীয়টি  ছিল আমাদের দেশের স্বনামধন্য দার্শনিক, অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ,ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি স্বয়ং ড:সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ সাহেবের, যাঁর জন্মদিনটিকে আমরা তাঁরই ইচ্ছানুসারে আমাদের দেশে "শিক্ষক দিবস " হিসাবে মেনে আসছি !

 তবে আমাদের দেশে রাধাকৃষ্ণাণ সাহেবের অথবা গ্রেগরি সাহেবের শিক্ষক সম্পর্কিত উপরিউক্ত উপদেশ বানীগুলি আমাদের শিক্ষককূলে ও ছাত্রকূলে কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সে বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতির ময়না তদন্ত করতে গিয়ে আজকের দিনে অন্তত মনকে বিষাদগ্রস্থ করবো না ! আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিত আধুনিক যুবক যুবতী আছেন যাঁরা অনেক কিছু জানলেও শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য হয় জানেন না, না হয় এর গুরুত্ব ব্যাপারে ভীষণ উদাসীন ! যদিও আজকাল ছাপানো বই না পড়তে চাইলেও গুগুল বা নেট  থেকে তাঁর সম্বন্ধে জেনে নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয় ! 

দুঃখিত হয়ে ভাবি এদের মধ্যে থেকেই হয়তো আমাদের দেশে পরীক্ষায় পাশ করে হোক বা রাজনৈতিক দাদাদের ম্যানেজ করে হোক অথবা নৈবেদ্য দক্ষিণা দিয়ে হোক, উঠে আসছে বহুসংখ্যক স্কুল কলেজ শিক্ষক শিক্ষিকা অধ্যাপক অধ্যাপিকা ! আজকাল টিভির পর্দায় রাজনৈতিক আলোচনায় যে সব তথাকথিত কর্তাভজা অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের দেখি তাদের মেজাজ মুখাবয়ব দেখলে আদর্শ বিনয়ী শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়া আর সব কিছু ভাবা ও কল্পনা করা  সম্ভব !

যাক বাবা, এ বিষয়ে আমার বেশী কিছু বলার স্পর্ধা দেখানো হাস্যকর হয়ে যাবে ! আমি এই অবসরে বরং আমার ব্যাক্তিগত জীবনের কয়েকজন প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকাকে শিক্ষকসুলভ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই ! একটু বড় প্রেক্ষাপটে দিয়ে বক্তব্য শুরু করি !

আমি খেয়াল করে দেখেছি যে কোনো আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে "শিক্ষক" শব্দটি আমার মাথায় আসলেই আরও অনেকের মতো আমারও প্রথমে আমার মা বাবা সহ পরিবারের গুরুজনদের  অবদানের কথাই মনে হয় ! 

কারণ তাঁরাই আমায় মাতৃভাষার বুলি শিখিয়েছেন আর কচি হাত ধরে স্লেটের ওপর চক দিয়ে বারবার ঘষে ঘষিয়ে অ,আ, ক,খ, শিখিয়েছিলেন; সে অভিজ্ঞতা তো ভোলার নয় ! মনে হয় এখনকার প্রিপ্রাইমারির কাজটা তখন এইভাবে ঘরেই তৈরী হয়ে যেত !

আর আমার সাথে অনেকেই হয়তো একমত হবেন যে শৈশবে মায়েদের কন্ঠে শোনা ঘুমপাড়ানিয়া গানের আবেশ মানুষের  মস্তিষ্কে রোপন করে সংগীতের মাধুর্য অনুভব করার ক্ষমতা ! এসব শিক্ষা কি অস্বীকার করার কোনো উপায় আছে, অন্তত যাঁরা জীবনে সে অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের পক্ষে ?

একটু বয়স্ক মানুষদের মনে থাকবে যে এখনকার মতো আমাদের সময় পেট থেকে বাচ্চা পড়ার সাথে সাথে পেন, পেন্সিল ধরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতো না! দেশে গ্রামে দেখেছি জন্মের পর তিন চার বছর তো জল মাটি ধুলোবালির  সাথে খেলাধুলায় করতে করতেই কেটে যেত ! তার পর হতো হাতে খড়ি ! সুতরাং সে সব স্মৃতি মস্তিষ্কের স্মৃতি কোষে থেকে যাবারই কথা ! তবে সেগুলি  ছিল পরিবারগত বা অপ্রথাগত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা, যার মূল্য বা প্রভাব কিন্তু একজন মানুষের সমস্ত জীবনের ওপর  অপরিসীম !

 মা বাবা ও পরিবারের পরেই আমার মনে হয় আমার শিক্ষক ছিল আমার বাসস্থানের চারিদিকের মানুষ এবং গাছপালা পশুপাখির পরিবেশ অর্থাৎ এককথায় প্রকৃতি ! মানুষের সান্নিধ্যে থেকে পরিচিত হতে শিখলাম, কে আমার আত্মীয় অনাত্মীয়,কে স্বজন আর কে প্রতিবেশী! 

আর ঘরের বাইরে চোখ মেলেই তো বাইরের জগৎটাকে দেখতে শিখলাম চিনতে শিখলাম, বন্যপ্রকৃতি, ফুল,ফল আর বিভিন্ন পশু পাখি! বাড়ির উঠোনে হেঁটে, হামাগুড়ি দিয়ে দুচোখ ভরে অবাক হয়ে চেয়ে ধীরে ধীরে দেখতে শিখলাম আলো,অন্ধকার,আকাশ,মেঘ জল, আগুন মাটি, ঝড় বৃষ্টি, সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা ! জীবনে এই সব শিক্ষার ভিত্তির উপরেই গড়ে ওঠে পরবর্তী জীবনের শিক্ষার , আদর্শের ও মূল্যবোধের পরিকাঠামো !

 যাক, এর পরেই শিক্ষক বা শিক্ষিকা হিসাবে যাঁর কথা মনে পড়ে তিনি ছিলেন আমার ক্লাশ ওয়ানের দিদিমনি! আজকের মতো "ম্যাম"নয়, দিদিমনি ! দুঃখের বিষয় তাঁর নাম ভুলে গেছি কিন্তু মুখটা এখনও  মনে আছে, বেশ সুর করে পড়াতেন বর্ণপরিচয়, সহজপাঠের পাঠ্যক্রম ! পড়া পারলে বুকে টেনে আদর করতেন ! আরও মনে আছে ঘোষাল মাস্টারমশাইকে, তিনি আমাদের প্রাথমিকে অঙ্ক শেখাতেন ! আর অপ্রাসঙ্গিক হলেও মনে আছে তাঁর একটি অসামান্য সুন্দরী মেয়ে আমাদের সাথেই পড়তো ! তার  নামটাও মনে আছে তবে বলবো না ! আমরা একসাথে কয়েকজন ছেলেমেয়ে ক্লাশ শুরু হবার আগে দাঁড়িয়ে কোরাসে  জাতীয় সংগীত গাইতাম ! চতুর্থ শ্রেনী পাশ করার পর আমি  হাইস্কুলে চলে গেলাম ! আর ঘোষাল মাস্টার মশাইও তাঁর পরিবার সহ কোথায় ট্রানসফার হয়ে চলে গেলেন জানিনা ! 

 ঘোষালবাবুর পরে মনে আছে ঐ প্রাথমিক স্কুলের হেডমাস্টার বিশ্বনাথ মুখার্জিকে, আর সহকারী প্রধান শিক্ষক অনন্তবাবুকে ! খুব অমায়িক ব্যবহার ওঁদের ! আমি ক্লাশে ফার্স্ট বয় হওয়ায় সব শিক্ষকই আমায় একটু বেশীই ভালবাসতেন ! তবে ভাল ব্যাবহার ও আন্তরিক ভালবাসার জন্য সবার মধ্যে এঁদের কথাই এখন অবধি আমার স্পষ্ট মনে পড়ে!  হয়ত ঐ রাধাকৃষ্ণাণ সাহেবের ভাষায় "সবচেয়ে ভাল মনের মালিক" হবার কারণেই !

 এরপর হাইস্কুলের এবং কলেজের মধ্যে সব শিক্ষক সেইভাবে আমার মনে ছাপ ফেলতে না পারলেও কয়েকজন শিক্ষককে ঐ একটি  কারণে প্রায়ই মনে পড়ে ! তাঁদের মধ্যে হাইস্কুলে বাংলা শিক্ষক বিজয়কৃষ্ণবাবু, সংস্কৃত শিক্ষক হরলাল আচার্য মহাশয় ও শিক্ষিকা মনীষা দিদিমনি, অঙ্ক শিক্ষক স্বপনবাবু, পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষক অমৃতেন্দুবাবু ও ইংরেজি শিক্ষক নরেশবাবু ও ত্রিবেদীবাবু আছেন ! এই ত্রিবেদী বাবু ছিলেন বিখ্যাত শিক্ষক ও সাহিত্যিক রমেন্দ্রসুন্দর ত্রীবেদীর দৌহিত্র ! প্রধান শিক্ষক বিশ্বদেব বিশ্বাস মহাশয়ও  খুব অমায়িক স্বভাবের মানুষ ছিলেন  !  তবে বাড়িতে বসে ছুটি উপভোগ করা ছাড়া হাইস্কুলে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানের কথা আমার মনে পড়ে না ! তাই তখন এই দিবসের তাৎপর্যও বুঝতাম না !

এরপর কলেজে! সেখানে তেমন ঘনিষ্ঠতা কোনো স্যারের সঙ্গে হবার সুযোগ হয়নি ! তবে আশুতোষ চক্রবর্তী প্রিনসিপ্যাল কখনও কখনও আমাদের ক্যালকুলাসের ক্লাশ নিতেন ! অবশ্যই অনার্সের সব ক্লাশ ইংরেজিতেই চলতো!  প্রথমবর্ষের ক্লাশে একদিন  উনি বোর্ডে গিয়ে ক্যালকুলাসের  লিমিট ও ফাঙ্কশান বোঝাচ্ছিলেন আর মাঝে মাঝে বলছিলেন "এম আই ক্লিয়ার?"--"এম আই ক্লিয়ার‍?"


 হঠাৎই মনে হলো অন্যান্য প্রফেসরেরা  কিছু ব্যাখ্যা করে ছাত্রছাত্রীদের  উদ্যেশ্য করে বলতেন "ডু ইয়ু ফলো ?" এই দুটি বাক্যের পার্থক্য জানার কৌতুহলে  আমি সাহস করে স্যারকে একদিন জিজ্ঞাসা করায়  উনি ইংরেজিতে যা উত্তর দিলেন তার অর্থ হলো :- 

"এম আই ক্লিয়ার " কথাটির মধ্যে শিক্ষকের দায়িত্ববোধ থাকে বেশী, অর্থাৎ শিক্ষকের দায়িত্ব বিষয়টিকে ভালভাবে ছাত্রের বোঝার যোগ্য করে বোঝানো !  তাই তিনি ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেন "আমি কি পরিস্কার করে বোঝাতে পারলাম? "  

অন্যদিকে "ডু ইয়ু ফলো মি ?" বাক্যটির মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের ওপর দায়িত্ব রেখে বলা হয় -"তুমি কি বুঝতে পারলে?"

 খুব সাহসী জ্ঞানী ও ভাল ব্যবহারের সাথে সাথে শিক্ষকের এই দায়িত্ববোধের শিক্ষাটা ওনার কাছেই শেখা ! 

পরবর্তী কালে যখন জন মিলটন গ্রেগরি সাহেবের লেখা "দ্য সেভেন লজ অফ টিচিং" বইটি পড়ি  প্রিন্সিপাল স্যারের ঐ "এম আই ক্লিয়ার?" কথাটি বারবার মনে পড়ে ! ঐ তাৎপর্যপূর্ণ বাক্যের সাহায্যে শিক্ষকের  দায়িত্ববোধ বুঝিয়ে দেবার জন্য চিরদিন মনে থাকবে ওনাকে ! 

যাইহোক আমাদের কলেজে শিক্ষক দিবস পালন আমার মনে পড়ে না !

পরে কর্মজীবনে রাধাকৃষ্ণাণ সাহেবের লেখা " দ্য রিলিজিয়ন এন্ড কালচার" পড়ে তাঁর আধ্যাত্মিকতা ও পান্ডিত্য সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ পরিচিত হই!


যাক ওসব কথা এখন ! আমরা জানি পৃথিবীর প্রায় সবদেশ সমাজগঠনে শিক্ষকদের অসামান্য দায়িত্ব ও ভূমিকার কথা মাথায় রেখে শিক্ষক দিবস পালন করে! আমাদের দেশে গুরুপূর্ণিমাই পরম্পরাগতভাবে শিক্ষক দিবস হিসাবে দেখা বা মানা হয়ে আসছে ! তবে ১৯৬৭ সাল থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটিকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক দিবস হিসাবে সরকারিভাবে মান্যতা দেওয়া হয় ! ১৯৯৪ সাল থেকে ইয়ুনেস্কোর উদ্যোগে ৫ই অক্টোবরকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসাবে মানা হয়! চিনে ২৮শে সেপ্টেম্বর কনফুসিয়াসের জন্মদিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে মানা হয়! বাংলাদেশ, রাশিয়া, পাকিস্তান, সোদি আরব, ইংল্যান্ড, রুমানিয়া সহ বহুদেশ ৫ই অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষকদিবসকেই মান্যতা দিয়ে উদযাপন করেন !

যাই হোক এবার আমাদের জাতীয় শিক্ষক দিবসের নায়কের কথায় একটু আসি ! 1888 সালের 5 সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর তিরুতান্নিতে জন্ম সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণের, পিতা ভিরাস্বামী, মা সিতাম্মা ! এঁদের পূর্বপুরুষের বাস নেল্লোর জিলার সর্ভেপল্লী গ্রামে,তার থেকেই সর্ভেপল্লী বা সর্বপল্লী যুক্ত হয়েছে নামের সাথে ! তিরুপতির 'ইভানজলিক্যাল লুথেরান স্কুলে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু! নিকটবর্তী তিরুমালা মন্দির এবং মিশনারি স্কুলের আধ্যাত্মিক আলোচনা ও শিক্ষা পরবর্তী কালে  তাঁর আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক জীবনের ভিত্তি তৈরী করে ! তিনি লুথেরান মিশনারিদের ধর্ম তথা পাশ্চাত্য খৃস্টান ধর্মের সাথে আমাদের তিরুমালা মন্দিরের ধর্ম বা হিন্দু ধর্মের মধ্য সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেন ! পরবর্তী কালে  গীতা, উপনিষদ,ও পাশ্চাত্য ধর্ম নিয়ে শুরু হয় তাঁর বিখ্যাত গবেষণা! আর এ বিষয়ে তিনি তাঁর  আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসাবে পেলেন স্বামী বিবেকানন্দের রচনা ও  নির্দেশাবলী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাবলী !

 এরপর মাদ্রাজ খৃশ্চান কলেজে থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভকরার পর  থেকে  তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আধ্যাত্মিকতার উপর লেখা ও গবেষণার কাজ পুরোদমে শুরুকরেন ! এরপর তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর ,রাজমুন্দ্রী, সহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনার পর মহীশুর  বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপনার কাজ নিয়ে অধ্যাপনার জীবন অতিবাহিত করেন! সাথে সাথে চলে তাঁর লেখার কাজ! প্রাচ্য দর্শনের পর ১৯২৬ সালে  বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়! সেখানে ১৯২৬ এবং ১৯২৯ সালে তাঁর বিখ্যাত "আপটন" লেকচার এবং ২৯ সালে "হিব্বার্ট" লেকচার পরে পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়! "দ্য হিন্দু ভিউ অফ লাইফ" এবং 'এন আইডিয়ালিস্ট ভিউ অফ লাইফ" 

কর্মজীবনে অধ্যাপনার সাথে সাথে একটু একটু করে জাতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ! পাশাপাশি চলতে থাকে দর্শন নিয়ে নিরন্তর লেখা ও গবেষণার কাজ! পন্ডিত নেহেরুর প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়  ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ তিনি ছিলেন রাশিয়াতে ভারতে রাষ্ট্রদূত ! ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাধাকৃষ্ণাণ সাহেব ! অধ্যাপনার কাজে কর্মজীবনে ১৯২১ থেকে ১৯৩১ পর্যন্ত এই কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জ ফাইভের সম্মানিত পদে আসীন ছিলেন! তারপর ওয়ালটেয়ারে অন্ধ্রা বিশ্বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর  পদে ছিলেন ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত ! এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ! দর্শনে  ও আন্তর্জাতিক শিক্ষক হিসাবে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৩১ সালেই তাঁকে  ব্রিটিশ সরকার নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন ! এরপর ১৯৩৯ সালে তাঁকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রাচ্যের ধর্মীয় ও সাংস্কৃৃতিক বিষয়ের স্পলডিং চেয়ারের অধ্যাপকের সম্মানে সম্মানিত করা হয় !

 অসামান্য মেধা, অধ্যাবসায় ও ছাত্রদের প্রতি তাঁর প্রকৃত শিক্ষকসুলভ স্নেহযত্ন ভালবাসার জোরে  তিনি দেশে বিদেশে একজন প্রথিতযশা অধ্যাপক, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হিসাবে হিমালয় প্রমাণ খ্যাতি লাভ করেন ! 

খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জন্মদিনটিকে দেশজুড়ে শিক্ষক দিবস হিসাবে মানার যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না এবং এই দিনটি  আমাদের তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনপথে চলার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় !


তাই আজকের দিনে আমাদের দেশের সকল শিক্ষক সম্প্রদায়কে  আমার এই লেখাটির মাধ্যমে আমার পক্ষ থেকে  জানাই যথাযোগ্য শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা, প্রণাম ও ভালবাসা !

 ( লেখা সংগৃহীত ) ।

No comments