Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে নজর কাড়ল হলদিয়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী

জৈব বর্জ্যজাত সার কীভাবে মাটির স্বাস্থ্য ফেরায়, তার ঘরোয়া মডেল তৈরি করে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে নজর কাড়ল হলদিয়ার ক্লাস নাইনের পড়ুয়া বিথীহোত্র রায়মহাপাত্র। রাজ্যের সেরা খুদে বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সে। জাতীয় বি…

 




 জৈব বর্জ্যজাত সার কীভাবে মাটির স্বাস্থ্য ফেরায়, তার ঘরোয়া মডেল তৈরি করে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে নজর কাড়ল হলদিয়ার ক্লাস নাইনের পড়ুয়া বিথীহোত্র রায়মহাপাত্র। রাজ্যের সেরা খুদে বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সে। জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে মডেল প্রদর্শনীর জন্য রাজ্য থেকে ৫১ জন শিশু বিজ্ঞানীকে বাছাই করা হয়েছিল। বাস্তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে মডেলের কার্যকারিতা এবং বিজ্ঞান ভাবনার গুণমান বিচারে বিথীহোত্র তৃতীয় হয়েছে। বিজ্ঞান কংগ্রেসের রাজ্য পর্যায়ের লোয়ার গ্রুপে (১০-১৪বছর) সাফল্যের পর এবার সে আপার গ্রুপে (১৪-১৭বছর) প্রতিযোগিতার জন্য পরিবেশ নিয়ে নতুন মডেলের ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে। বিথীহোত্রর সাফল্যে খুশির হাওয়া তার স্কুল ও বন্ধুবান্ধদের মধ্যে। কৃষি ও পরিবেশ নিয়ে খুদে বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনী ভাবনাকে উৎসাহিত করতে আগ্রহী কৃষিদপ্তরও।


বিথীহোত্র হলদিয়ার টাউনশিপে বিবেকানন্দ মিশন স্কুল নামে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া। জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস-২০২০-তে অংশ নিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে সে। ওইসময় বিথীহোত্র ক্লাস এইটের পড়ুয়া ছিল। তার বিজ্ঞান প্রকল্পের থিম ছিল, বিভিন্ন ধরনের জৈবসারের প্রয়োগে গাছের বৃদ্ধির উপর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এই মডেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছে খুদে বিজ্ঞানী। করোনা আবহে বাড়ির উঠোনে নিজেই বাগান তৈরি করে হাতেকলমে এই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে সে। মাটির গুণমান পরীক্ষার জন্য তাকে তাকে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করেছেন হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক বিকাশ বেপারি। 

করোনা আবহের জন্য এবার দিল্লিতে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের মডেল প্রদর্শনীর পরিবর্তে রাজ্যগুলিকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার মাধ্যমে আলাদা করে প্রতিযোগিতার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিজ্ঞান কংগ্রেসের পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য কো-অর্ডিনেটিং সংস্থা সায়েন্স কমিউনিকেটর ফোরাম বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশ নেওয়া বাছাই ৫১ জন খুদে বিজ্ঞানীদের নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। তাদের মধ্যে প্রথম হয় হাওড়ার স্বপ্নজা গিরি, দ্বিতীয় হয় রায়গঞ্জ সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র নীর দাস এবং তৃতীয় হয় হলদিয়ার বিথীহোত্র। বিথীহোত্রর বাবা গৌরিশঙ্কর রায় মহাপাত্র একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কেমিস্ট্রির শিক্ষক। পরিবেশভাবনা নিয়ে তিনি বরাবরই ছেলেকে উৎসাহ দিতেন। তবে বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশ নেওয়ার জন্য মডেল বানাতে উৎসাহিত করেছেন বিথীহোত্রর শিক্ষক বিকাশবাবু।

বিথীহোত্র জানায়, স্কুলে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট তৈরি করতে হয়। সেখান থেকেই তার পরিবেশভাবনার বিষয়টি মাথায় আসে। প্রতিদিন সে মাকে দেখত রান্নাঘরের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। সেই বর্জ্য থেকেই সার তৈরির চিন্তা মাথায় আসে। কারণ গ্রামের বাড়ি এগরায় সে জৈবসারের প্রয়োগ দেখেছে। রাসায়নিক ব্যবহারে মাটির ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে এবং উর্বরা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। জৈব সার ব্যবহারের ফলে কীভাবে একটি পতিত জমিতে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মাত্র বাড়ে তার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করেছে দেড় বছর ধরে। হলদিয়ার কলেজ আবাসনে ঘরবন্দি থাকার সময় নিজেই মাটি কুপিয়ে সব্জি খেত তৈরি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে।

No comments