আত্মশাসন পরিস্থিতির মধ্যেই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মন্দারমণি-তাজপুর এলাকায় অবৈধভাবে হোটেল-লজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মন্দারমণিতেই অবৈধ নির্মাণ বেশি হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে খুব শীঘ্রই অভিযানে না…
আত্মশাসন পরিস্থিতির মধ্যেই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মন্দারমণি-তাজপুর এলাকায় অবৈধভাবে হোটেল-লজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মন্দারমণিতেই অবৈধ নির্মাণ বেশি হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে খুব শীঘ্রই অভিযানে নামবে সংশ্লিষ্ট রামনগর ব্লক প্রশাসন। মাসদুয়েক আগে সাইক্লোন যশের জেরে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে মন্দারমণি থেকে দীঘা পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যশের ক্ষত সারতে না সারতেই মন্দারমণি ও তাজপুরের উপকূলে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ দপ্তর ও প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী কোস্টাল রেগুলেশন জোনের (সিআরজেড) ২০০ মিটারের মধ্যে যে কোনও নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সেসব নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক হোটেল-লজ নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। এধরনের হোটেল নির্মাণের অনুমতি দিয়ে থাকে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। কিন্তু এই সমস্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্লক প্রশাসনের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন তাজপুরে এসে পরিবেশ বাঁচিয়ে পর্যটনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যশ-পরবর্তী পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে সমুদ্রের পাশে হোটেল-লজ নির্মাণ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, অবৈধভাবে হোটেল-লজ তৈরির খবর আমাদের কাছে এসেছে। আইন মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে রামনগর-১ বিডিও বিষ্ণুপদ রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আমরা খুব শীঘ্রই উন্নয়ন সংস্থা ও পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামব। অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না।
No comments