Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ইনক্রেডিবল নীরজ সোনা জিতলেন

ইতিহাসের জেলার ছেলে ইতিহাস গড়লেন বিশ্বে। পানিপথ থেকে টোকিও, যেন এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস। এবার টোকিও অলিম্পিকে গ্রাম ভারতেরই জয়জকার। অভিনব বিন্দ্রার পর নীরজ চোপরা দ্বিতীয় ভারতীয় সোনা জিতলেন অলিম্পিকে। অভিনব ছিলেন শহরের, নীরজ গ্রাম ভা…

 






ইতিহাসের জেলার ছেলে ইতিহাস গড়লেন বিশ্বে। পানিপথ থেকে টোকিও, যেন এভারেস্ট জয়ের ইতিহাস। এবার টোকিও অলিম্পিকে গ্রাম ভারতেরই জয়জকার। অভিনব বিন্দ্রার পর নীরজ চোপরা দ্বিতীয় ভারতীয় সোনা জিতলেন অলিম্পিকে। অভিনব ছিলেন শহরের, নীরজ গ্রাম ভারতের প্রতিনিধি। আমরা যারা গ্রামে বাস করি তাদের কাছে আইকন। 


ইনক্রেডিবল নীরজ! তিনি হরিয়ানার গ্রামের ছেলে। আর এক হরিয়ানার গ্রামের ছেলের হাত ধরে আটত্রিশ বছর আগে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। হরিয়ানা হ্যারিকেন কপিলদেব। এবার ইনক্রেডিবল নীরজ। 


৮ফুট ২ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের একটি জ্যাভলিন ৮৭.৫৮মিটার ছুঁড়ে তিনি অলিম্পিকে সোনা জিতলেন শুধু নয়, কোভিড-বিধ্বস্ত ভারতের ঝুঁটি ধরে নাড়া দিলেন যেন। গ্রাম ভারতের এক প্রতিনিধি স্বাধীনতার মাসে যেন আর একবার আগস্ট বিপ্লব করলেন একক প্রয়াসে। রবি দাহিয়া, চানু, সিন্ধু, রানি রামপলরা অলিম্পিকে ভারতের সংহতির যে ছবি আঁকলেন, স্বপ্নপূরণের গল্প লিখলেন, নীরজ সেখানে মধ্যমণি। এঁরা সকলেই তরুণ ভারতের নবীন ভারতের আইকন, যাদের ফাইটিং স্পিরিট চমকে দিয়েছে এবার দিয়েছে বিশ্বকে। শক্তির শেষবিন্দু পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছে। যারা হার মানতে শেখেনি। একেই বলে গ্রাম ভারতের বৈশিষ্ট্য। নীরজ দেখিয়ে দিলেন গ্রাম ভারত কীভাবে ছাতু খেয়ে ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়ছে। 


নীরজ সত্যিই প্রবাদপ্রতিম জ্যাভলিন থ্রোয়ার ইউই হুনের যোগ্য উত্তরসূরী। হুনের জ্যাভলিন থ্রো-র রেকর্ড ১০৪মিটার। বলা হয় ইটারনাল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।! বছর ষাটের জার্মানির এই প্রবাদপ্রতিম জ্যাভলিন থ্রোয়ার যাঁর শিক্ষাগুরু, তিনি অলিম্পিকে সোনা পাবেন না তো কে পাবেন। মাত্র ২৩ বছরের এক সেনা অফিসারের সোনা জয়ের ঘটনা সত্যিই ভারতের প্রতিটি মানুষের উদযাপন করা প্রয়োজন। রাজনীতির ভারত, ক্ষুধায় পীড়িত ভারত, জাতপাতে ক্লিষ্ট ভারতের মুক্তি ময়দানের অনাবিল আনন্দে। বৃহৎ ভারতের তরুণদের মোবাইল-মুগ্ধ করে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া, এও এক চক্রান্ত কি না জানি না, অবশ্যই ব্যবসায়িক কৌশল তো বটেই। নীরজ, সিন্ধু কিংবা চানুর ছবি এবার থেকে প্রতিটি স্কুলের ক্লাসরুমে টাঙিয়ে দেওয়া হোক স্কুল খুললেই। শরীর ও মেধার মেলবন্ধন না হলে ভারত বরাবরই চিনের পিছনেই থাকবে। ওড়িশার মত এবার ভারতের প্রতিটি রাজ্য একটি করে খেলার দায়িত্ব নিক। সেই রাজ্যেই গড়ে উঠুক বিশেষ একটি খেলার এক্সসেলেন্স সেন্টার, যেখানে তৈরি হবেন আগামীর বিশ্বসেরা।@শ্যামল সেন।

No comments