সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলা রাজ্যের বিদ্যালয়গুলির হাল-হকিকত জানতে তথ্যভিত্তিক হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই স্কুলগুলির মধ্যে কাদের ক্ষেত্রে শিক্ষকের সংখ্যা শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় কম, কোথায় শুধুমাত্র প্যারা-টিচার দিয়েই কাজ …
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলা রাজ্যের বিদ্যালয়গুলির হাল-হকিকত জানতে তথ্যভিত্তিক হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই স্কুলগুলির মধ্যে কাদের ক্ষেত্রে শিক্ষকের সংখ্যা শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় কম, কোথায় শুধুমাত্র প্যারা-টিচার দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে—এসব তথ্য সম্বলিত হলফনামা তলব করেছে আদালত। ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতে এই বৈষম্য বা পার্থক্য নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পেশ করার জন্য রাজ্য অনেকটা সময় চায়। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের অভিমত, এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার জন্য একটি দিনই যথেষ্ট। যদি তা তৈরি না থাকে, সেটা বিস্ময়কর।
মামলাকারী পরিণয় প্রকাশ নাথ আদালতকে জানান, বাঁকুড়ার একটি অঞ্চলে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি সরকার নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয় রয়েছে। একটিতে শিক্ষকের সংখ্যা পর্যাপ্ত। কিন্তু অন্য দু’টি বিদ্যালয়ে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকই নেই। প্যারা-টিচার দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। ফলে ওই দুই বিদ্যালয় থেকে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন যে বিদ্যালয়ে, সেখানে চলে যাচ্ছে কেউ কেউ। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরের স্কুলে যেতে হচ্ছে। অথচ শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী পিছু শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক। এই প্রেক্ষাপটেই বেঞ্চ এদিন রাজ্যের বিদ্যালয়গুলির শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী পিছু শিক্ষকের সংখ্যা, স্কুলছুটের সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য তলব করে।
No comments