পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশপ্রাণ, কাঁথি-১, কাঁথি-৩, রামনগর-১, রামনগর-২,খেজুরী-১, খেজুরী-২ সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকায় গত অামফান ও ইয়াস দুর্যোগের ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার নারকেল গাছ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশপ্রাণ, কাঁথি-১, কাঁথি-৩, রামনগর-১, রামনগর-২,খেজুরী-১, খেজুরী-২ সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকায় গত অামফান ও ইয়াস দুর্যোগের ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার নারকেল গাছ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নারকেল গাছের ডগা নড়ে গিয়ে বাগলা চরমভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। পাতা সব শুকনো অাকার ধারন করেছে। এমনিতেই নারকেল গাছে অনেক অাগে থেকেই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। ডাবে ধোসা রোগের সংক্রমণ অব্যাহত ছিল। অামফান ও ইয়াস দুর্যোগের পরে নারকেল গাছের কাঁদিতে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে কচি ডাব খসে পড়ছে।অনেক নারকেল গাছের ডগা শুকনো হয়ে পতনের প্রহর গুনছে। নারকেল গাছের বর্তমান প্রজাতি অস্তিত্বের সঙ্কটে মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্র উপকূল বর্তী এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য নারকেল গাছের টিকে থাকা একান্ত জরুরী। তাছাড়া তালগাছ ও খেজুর গাছ বিলুপ্তির পথে।নারকেল গাছ রোগাক্রান্ত হওয়ায় ফলন কমেছে। ডাব শরীরে পটাশিয়াম যোগান দিয়ে কিডনি ও রক্তচাপের চিকিৎসায় খুবই উপযোগী। ডাবের দাম ক্রমবর্ধমান। জীবন-জীবিকা র জন্য অনেকে নারকেল গাছর ফলনের উপর নির্ভর করেন।তাছাড়া নারকেল তেল সহ নারকেল ছোবড়া থেকে গদি সহ অন্যান্য সামগ্রী উৎপাদন শিল্প চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়ছে।কোলকাতার সল্ট লেকের নারকেল বোর্ডের কর্মকতাগণ নির্বিকার।জেলার উদ্যান পালন দপ্তরের কোন হেলদোল নেই। কেন্দ্র সরকারের নারকেল বোর্ডের কোন গরজই চোখে পড়ে না।নারকেল গাছ রক্ষা করতে গেলে এক্ষুনি কৃষি জৈব প্রযুক্তির প্রয়োগ এখনই প্রয়োজন। তাছাড়া নতুন করে লাগানোর জন্য উন্নত মানের নারকেল চারার প্রচুর যোগানের প্রয়োজন। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন কোলকাতার সল্ট লেকের নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও উদ্যান পালন বিভাগের অধিকর্তা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে কাঁথি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৃতপ্রায় নারকেল গাছ পালন কে রক্ষা করে জীবন-জীবিকা,পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষিত রাখা সহ অর্থনীতি কে বাঁচানোর অাবেদন জানিয়েছেন।
No comments