বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক। বেশ কয়েকদিন ধরেই জলবন্দি হলদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।বৃহস্পতিবার সকালে বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এলাকা পরিদর্শনে গেলে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। তাঁ…
বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক। বেশ কয়েকদিন ধরেই জলবন্দি হলদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এলাকা পরিদর্শনে গেলে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, এতদিনে তাপসীর কোনও দেখা মেলেনি অথচ, তৃণমূল নেতা আজগর আলি ৫০০টি পরিবারের জন্য রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
বিক্ষোভ রত এক গ্রামবাসীর কথায়, “কোনও দিনই বিধায়কের মুখ দেখা যায়নি। আজ আমরা কী অবস্থা রয়েছি তা দেখেছেন উনি? তাও তো তৃণমূলের পল্টু আমাদের মুড়ি-চানাচুর দিয়ে গেল।”
তাপসী মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভের সময়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। যদিও বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূলই পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছে। বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, “প্রথম যেদিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, সেদিন থেকে রোজই বেরোচ্ছি। প্রত্যেকটা এলাকা ডুবে আছে, এসডিও-কে জানিয়েছি। পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে বারবার ফোন করছি। চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। খালের কাছে সুইস গেট সব বন্ধ। এগুলো পৌরসভার দায়িত্ব নিকাশি ব্যবস্থাকে ঠিক রাখা।” তবে এদিনের বিক্ষোভের জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন তিনি। তৃণমূল নিজেরাই কাজ করে না বলে পাল্টা দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, “বিজেপি নেতা বিধায়কদের কাছ থেকে আমাদের কোনও সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল ভোটের আগেও ছিল, পরেও রয়েছে। সাধারণ মানুষদের জন্য আমরা সবসময়ই রাস্তায় আছি।”
আমাদের প্রিয় নেতা আজগর আলী র নির্দেশ ক্রমে কয়েক জনের বাড়ির অবস্থা খারাপ দেখে তাদের আর্জি শুনে তাদের হাতে নতুন করে কয়েকটা ত্রিপল তুলে দিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন । সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক অর্ণব দেবনাথ বললেন হলদিয়ার মানুষের পাশে নেই বিজেপি। যখন জল কমেছে মানুষ স্বস্তি ফিরছে তখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে মিডিয়ার সামনে হাইলাইট হতে চাইছেন ।কিন্তু মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিজেপি ভোটে জিতে সাধারণ মানুষের পাশে নেই। আমরা হলদিয়ার মানুষের পাশে আগে ছিলাম আছি আগামীতেও থাকবো।
No comments