গৃহবধূকে খুন করার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী ও ভাসুর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হল স্বামী চিরঞ্জিত দলাই ও ভাসুর প্রসেনজিৎ দলাই। তাদের বাড়ী রামনগর থানা দক্ষিণ তেতুলতলা গ্র…
গৃহবধূকে খুন করার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী ও ভাসুর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হল স্বামী চিরঞ্জিত দলাই ও ভাসুর প্রসেনজিৎ দলাই। তাদের বাড়ী রামনগর থানা দক্ষিণ তেতুলতলা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এরপর মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা এই মৃত্যু কোনও মতে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারেনি।
এরপর খুনের অভিযোগ তোলেন মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ি সদস্যরা। তারা থানায় অভিযোগ করেন, গৃহবধূকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে রামনগর থানার পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়।
তারপরে গত দিন কয়েক আগে কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্বামী ও ভাসুর। বিচারক তাদের জেলহাজতে থাকার নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে জেল হেফাজত থেকে রামনগর থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আবারও কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বিচারক তাদের জামিন নাকচ করেছেন হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে রামনগর থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮(এ), ৩০২, ৩০৪(বি) সহ ধারায় মামলার রুজু করেছে পুলিশ।এবিষয়ে রামনগর থানার ওসি সৌরভ চিননা বলেন, “দু’জন কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল। সেখান থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আবারও দুজনকে কাঁথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
No comments