Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আতঙ্ক,তমলুক হাসপাতালে ডেল্টা স্ট্রেইনে আক্রান্ত ২৭

একরাশ উদ্বেগ বাড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনার ডেল্টা স্ট্রেইনের হদিশ মিলল। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে বিষয়টি স্বাস্থ্যভবন ও জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়। গত তিন-চারদিনে তমলুক জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর টেস্টে এরকম ২৭জনের …

 





 



 একরাশ উদ্বেগ বাড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনার ডেল্টা স্ট্রেইনের হদিশ মিলল। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে বিষয়টি স্বাস্থ্যভবন ও জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়। গত তিন-চারদিনে তমলুক জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর টেস্টে এরকম ২৭জনের শরীরে ডেল্টার হদিশ মিলেছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান। এদিন জেলা প্রশাসন গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২৮ ও ২৯ জুলাই জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি পূর্ব মেদিনীপুরের ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও নির্মাণ সহায়কদের নিয়ে মিটিং করবেন। সেখানে করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানদের সতর্ক করা হবে। করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন ধরা পড়া ২৭ জনের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে প্রত্যেকের উপর নজরদারি রাখা হয়েছে। কয়েকজন তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন আরটিপিআর ল্যাবে করোনার স্ট্রেইন পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে। এব্যাপারে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, ডেল্টা অনেক আগেই মেদিনীপুরে চলে এসেছে। আড়াই মাস আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ডেল্টা স্ট্রেইন মিলেছে। এই স্ট্রেইনের সংক্রমণ প্রবণতা বেশি। তবে, আতঙ্কের কিছু নেই। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।

জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেড়-দু’মাস আগে থেকেই গোটা জেলায় জোর প্রস্তুতি চলছে। তারমধ্যে তমলুক, হলদিয়া, পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম ও এগরা প্রভৃতি বড় হাসপাতালে পাইপ লাইনের সাহায্যে অক্সিজেন সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়াও স্ট্রেইন পরীক্ষার জন্য আরএনএ স্টাডি করা হচ্ছে। তাতেই করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন সামনে এসেছে। জেলায় এধরনের কেস এলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। সংক্রামিত ব্যক্তি যাতে পুরোপুরি আলাদা থাকেন, সেটাও নিশ্চিত করার জন্য জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলায় করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন ঢুকে গেলেও এখনও সিংহভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১১ লক্ষ ২৯ হাজার জন। জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার জন। জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। জেলায় সুপার স্প্রেডার গ্রুপের মোট ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে ৭৫ হাজার। প্রতিদিন ২২ হাজার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও কয়েক হাজার মানুষ তা পাচ্ছেন না। কোভ্যাকসিন মজুত রয়েছে মাত্র ৭৩০টি। জেলায় সংক্রমণের হার এখন ১.০৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা স্ট্রেইন। 

এব্যাপারে জেলাশাসক বলেন, করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন কয়েকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। আমরা সংক্রামিতদের এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় এনেছি। এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর করোনা মোকাবিলায় অনবরত কাজ করে চলছে। জেলাবাসীর কাছে আমাদের আবেদন, প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করুন। কোভিডের সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন।

No comments