উন্নয়নে পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তিন মাস পর রিভিউ মিটিংয়ে পারফরম্যান্সের নিরিখে সেরা ২০টি পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করা হবে। আজ, বুধবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ২৮ জুলাই জেলাশাসক পূর্ণেন…
উন্নয়নে পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তিন মাস পর রিভিউ মিটিংয়ে পারফরম্যান্সের নিরিখে সেরা ২০টি পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করা হবে। আজ, বুধবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ২৮ জুলাই জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি প্রথমে কোলাঘাটে তমলুক মহকুমার অন্তর্গত সবক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও নির্মাণ সহায়কদের নিয়ে মিটিং করবেন। বিকেলে হলদিয়ায় ওই মহকুমার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে বৈঠক আছে। ২৯ তারিখ তিনি কাঁথি মহকুমা এবং এগরা মহকুমা এলাকার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নিয়ে দু’জায়গায় মিটিং করবেন। উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার লক্ষ্যে জেলাশাসক জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধান এবং নির্মাণ সহায়কদের ভোকাল টনিক দেবেন। বিভিন্ন সরকারি স্কিমে রাজ্যের নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে সামনের সারিতে তুলে আনার লক্ষ্যেই জেলা প্রশাসনের এই ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে রোজগারের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের পর নন্দীগ্রাম-১, খেজুরি-১ ও ২, দেশপ্রাণ প্রভৃতি ব্লকে একশো দিনের কাজে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। আগস্টে ষাঁড়াষাঁড়ি বানের পর উপকূল এলাকায় এক কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। এজন্য কয়েক লক্ষ কর্মদিবসের সুযোগ রয়েছে। একশো দিনের কাজে ১০০রকমের কাজের সুযোগ। পঞ্চায়েতগুলি ১০০দিনের কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার মানুষজনের আয়ের পথকে সুগম করতে পারে। এছাড়াও নানা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, অর্থ কমিশনের টাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চাইছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট ২৫টি ব্লকে ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। জেলা প্রশাসন ঠিক করেছে, চারটি মহকুমায় ২০টি পঞ্চায়েতকে পারফরম্যান্সের নিরিখে বেছে পুরস্কৃত করা হবে। তিন মাস পর রিভিউ মিটিংয়ে সেরা পঞ্চায়েতকে বেছে নেওয়া হবে। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কিমে রাজ্যের নিরিখে জেলার পারফরম্যান্স কিছুটা পিছিয়ে। এই অবস্থায় পারফরম্যান্সে গতি তুলতে পঞ্চায়েতের উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
এব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সরকারি কাজের সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সেই লক্ষ্যে আমরা ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও নির্মাণ সহায়কদের নিয়ে মিটিং করছি। সেখানে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। তিন মাস পর রিভিউ মিটিং হবে। সেখানেই সেরা ২০টি পঞ্চায়েতকে বেছে পুরস্কৃত করা হবে। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কিমে আমাদের পারফরম্যান্স রাজ্যের নিরিখে আরও ভালো হওয়া উচিত। তারমধ্যে একশো দিনের কাজ অন্যতম। আমরা বিশেষ পরিকল্পনা করে আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে গতি তোলার চেষ্টা করব। আশা করি, এর সুফল মিলবে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান, দু’-ই বৃদ্ধি পাবে।
No comments