সোমবার রথযাত্রা উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের মহাপ্রভু মন্দিরে রথের রশিতে টান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে মন্দিরের দর্শন করেন রাধা গোবিন্দের এবং মহাপ্রভুর চরণে পুষ্পার্ঘ্য দেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্…
সোমবার রথযাত্রা উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের মহাপ্রভু মন্দিরে রথের রশিতে টান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে মন্দিরের দর্শন করেন রাধা গোবিন্দের এবং মহাপ্রভুর চরণে পুষ্পার্ঘ্য দেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। নিজের হাতে বাতাশা ছড়ান, ধূপ দীপ দিয়ে আরতী করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী কে। জগন্নাথ,বলদেব, সুভদ্রা দেবীর রথের রশি টানেন শুভেন্দু বাবু, মন্দির থেকে বেরিয়ে বলেন যারা আমরা সনাতনী মানি কোভিদ প্রটোকল মেনে জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা দেবী রথের রশি টানা পথা রয়েছে। এখানে চৈতন্যদেব অনেকদিন ছিলেন। এখানে রথযাত্রা বড় করে অনুষ্ঠান হয় কিন্তু করোনার জন্য ভিতরে সীমিত ভক্তদের নিয়ে রথযাত্রার অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা এখানে সবাই মহাপ্রভুর ভক্ত হিসেবে এসেছি। পাশাপাশি এদিন পাঁশকুড়ার ইস্কনে প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে কোভিড বিধি মেনেই হয় রথের রশ্মি টানার আয়োজন করা হয়। রথের দড়িতে টান দেওয়ার আগে অগনিত ভক্তদের প্রসাদ বিতরন করা হয়। বহু মহিলা ভক্তদের উপস্থিতি দেখা যায় চোখে পড়ার মতো।
প্রতিবছর শুভেন্দু অধিকারী এই রথযাত্রায় মেছেদার ইস্কনে উপস্থিত থাকেন। করোনা আবহের মধ্যেই স্যানিটাইজ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ইস্কনের রথযাত্রা পালন হয়,তবে গতবারের তুলনায় এবছর তাড়াতাড়ি রথ টানা হয়ে যায়।
কারন এই ইস্কন মন্দিরে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়, কিন্তু সরকারি নিয়ম মেনে চলার কারনে আমাদের বিকেলের বদলে সকালে রথ টানা হয়, কারন মানুষের ভিড় যেন না বাড়ে সেকারনে সময় বদল করা হয়েছে বলে জানা যায় রথ যাত্রার কমিটির পক্ষ থেকে। ১১ বছর ধরে চলছে এই ইস্কনের রথ। তবে কোভিড বিধির জন্য সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়, এমনকি মহোতসব অনুষ্ঠানও বাতিল হয়। ছোট করে অনুষ্ঠান করা হয় তা কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়েই । তবে এলাকার মানুষ কিছুটা নিরাশ হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুঁজো আর্চনা চলেছিল এদিন ধুমধামের সহিদ।
No comments