Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

১৩ কোটি টাকার প্রকল্প দীঘা সমুদ্র সৈকত শহর গুলিকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য

যশে ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রীহীন দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণির মোট ছ’টি বিশ্ববাংলা পার্ক সংস্কার করবে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। এছাড়া সবক’টি পর্যটনকেন্দ্রের সৈকতের সঙ্গে সংযোগকারী ন’টি রাস্তার সংস্কার করা হবে। এজন্য প্রায় ১৩…

 





যশে ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রীহীন দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণির মোট ছ’টি বিশ্ববাংলা পার্ক সংস্কার করবে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। এছাড়া সবক’টি পর্যটনকেন্দ্রের সৈকতের সঙ্গে সংযোগকারী ন’টি রাস্তার সংস্কার করা হবে। এজন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল সোমবার জানান। 

গত ২৬ মে সাইক্লোন যশের দাপটে তীব্র সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের জেরে ওই পার্কগুলির প্রভূত ক্ষতি হয়। পার্কগুলির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। পেভার ব্লক ছিন্নভিন্ন অবস্থা হয়ে যায়। বিদ্যুতের তার, লাইটিংয়ের পরিকাঠামো সব নষ্ট হয়ে যায়। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের কয়েকদিন পরে জরুরি ভিত্তিতে আলোর ব্যবস্থা ঠিকঠাক করা হয়। তবে সংস্কারের অভাবে বর্তমানে শ্রীহীন ওই পার্কগুলি। পার্ক থেকে শুরু করে সৈকতের রাস্তাঘাট, সবকিছুরই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের দাবি তুলেছেন পর্যটকরা এবং এলাকার বাসিন্দারা।   

প্রসঙ্গত, দীঘা সহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকবছর আগে সৈকতের পাশেই কয়েকটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পার্কগুলির নাম দেওয়া হয় বিশ্ববাংলা পার্ক। ওল্ড ও নিউ দীঘায় বিশ্ববাংলা-১ ও বিশ্ববাংলা-২ নামে দুটি সুদৃশ্য পার্ক তৈরি করা হয়। দীঘার পাশাপাশি শঙ্করপুরে একটি, তাজপুরে একটি এবং মন্দারমণির দাদনপাত্রবাড় ও সিলামপুরের সৈকত মিলিয়ে আরও চারটি বিশ্ববাংলা পার্ক গড়ে তোলা হয়। ছ’টি পার্ক তৈরি করতে সব মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়। পার্কগুলিতে বসার জায়গা থেকে শুরু করে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর আগে সৈকতের গায়ে এরকম পার্ক ছিল না। পার্কগুলি খুব তাড়াতাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। প্রতিদিন দীঘা সহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রের বিশ্ববাংলা পার্কে হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় জমে যেত। যদিও বর্তমানে করোনা আবহ ও আত্মশাসন পরিস্থিতিতে সেভাবে পর্যটকের ভিড় নেই। তবুও বিকেল হলেই স্বল্পসংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান পার্কগুলিতে। উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক বলেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই পার্কগুলির সংস্কারের কাজে হাত দিতে চাই। পার্কের লাইটিংয়ের পরিকাঠামো ঠিক রাখতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজা হবে। বাকি পরিকাঠামোগুলিও ঠিকঠাক করা হবে। একই সঙ্গে রাস্তাগুলিও সংস্কার করা হবে। আর্থিক অনুমোদন হয়ে গেলেই আমরা ওই কাজে হাত দেব।    

No comments