মহা ভারত রচয়িতা এবং দুশো ষোলোটি স্তোত্রের গুরুগীতা গ্রন্থের স্রষ্টা হলেন মহর্ষি ব্যাসদেব। আজকের দিনেই জন্মে ছিলেন ব্যাসদেব। প্রাচীন ভারতে হিন্দু সন্ন্যাসীগন সম্মিলিত ভাবে মহর্ষি ব্যাসদেবকে গুরু মানেন। এবং এই দিনটিকেই গুরু-শ…
মহা ভারত রচয়িতা এবং দুশো ষোলোটি স্তোত্রের গুরুগীতা গ্রন্থের স্রষ্টা হলেন মহর্ষি ব্যাসদেব। আজকের দিনেই জন্মে ছিলেন ব্যাসদেব।
প্রাচীন ভারতে হিন্দু সন্ন্যাসীগন সম্মিলিত ভাবে মহর্ষি ব্যাসদেবকে গুরু মানেন। এবং এই দিনটিকেই গুরু-শিষ্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের জন্য গুরুপূ্র্ণিমা দিবস হিসাবে ধার্য্য করেন।
সারা দেশে ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ জন খুবই ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে এই দিনটি উদযাপন করে আসছেন। কোলাঘাটে বিরামহীন বয়ে চলা রুপনারায়নের পাড়ে রাধামাধব আশ্রমে সুরক্ষা বিধি বলয়ের মধ্যেই আজ সারাদিন ধরে গুরুপূর্ণিমা উদযাপিত হল। অন্যান্য বছর বহু মানুষের সমাগম ঘটলেও এবারের চিত্র ছিল সম্মুর্ন ভিন্ন। প্রভাতে মঙ্গল আরতির পর আশ্রমিকরা নাম সংকীর্তন সহকারে নগর পরিক্রমা করেন। বেলায় শুরু হয় বিশেষ পূজা-পাঠ ও মঙ্গল প্রার্থনা। এ দিন পর্যাক্রমে সময়সূচি অনুযায়ী পঞ্চাশ জন করে প্রায় শতাধিক মানুষ স্বামী-স্ত্রী যুগলে উপবাস থেকে, নতুন বসনে ধর্মীয় প্রথা ও আচার মেনে গুরুমন্ত্রে দীক্ষিত হন। শেষে আশ্রমের পক্ষ হতে সমাগতদের মধ্যান্হে ভোগ প্রসাদে আপ্যায়িত করা হয়।।
আশ্রমের পক্ষে কল্যান সামন্ত বলেন,- এ বছরের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুরক্ষা বিধি প্রাধান্য দিয়ে আমরা সীমিত আয়োজনের মধ্যেই আজ পবিত্র গুরু পূর্ণিমা উদযাপন করেছি। পৃথিবী দ্রুত সুস্থ হোক, মানব সভ্যতা ফিরে আসুক স্বাভাবিক ছন্দ, আমরা গুরু দেবের কাছে এই প্রার্থনাই করেছি।"
No comments