Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অবৈধ বালি খাদান নিয়ে সরব বৈধ খাদান মালিকেরা

বৈধ বালি চুরি নিয়ে বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারপরে ও হুঁশ ফিরছেনা এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর ।এবার অবৈধ বালি খাদান নিয়ে সরব হয়েছেন বৈধ খাদান এর মালিকেরা।পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ন নদী থে…

 



বৈধ বালি চুরি নিয়ে বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারপরে ও হুঁশ ফিরছেনা এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর ।এবার অবৈধ বালি খাদান নিয়ে সরব হয়েছেন বৈধ খাদান এর মালিকেরা।

পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ন নদী থেকে নরঘাট ও চন্ডিপুরের হলদি নদী সহ কাঁসাই নদীর একাধিক জায়গায় একাধিক বালি খাদান রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ। যার ফলে বালি কেনার খদ্দের পাচ্ছেন না বৈধ খাদানের মালিকেরা। সরকারি নিয়ম মেনে বালি বিক্রি করতে গেলে যা খরচ হয় তার থেকে অনেক কম খরচে অবৈধ খাদানের মালিকদের বালি খদ্দেরদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ।ফলে বৈধ খাদানের মালিকদের বালি বিক্রী হচ্ছে না বলে অভিযোগ ।


বৈধ খাদানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান,দুই বছর ধরে কোন ব্যাবসা হচ্ছে না লকডাউনের কারনে। তাছাড়া বালি লোডিং খরচ,গাড়িভাড়া অনেক বেশি পড়লেও রয়ালিটি কেটে সরকার কে ট্যাক্স দিয়ে  ব্যাবসা  করছেন হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওরিটির সাথে।ওনার অভিযোগ,রাতের অন্ধকারে অসাধু ব্যাবসায়ীরা মেশিন নিয়ে এসে বালি তুলে নিয়ে চলে যায়।


এই প্রসঙ্গে আরও এক বৈধ বালি ব্যাবসায়ী শেখ হায়দার আলি নামে এক ব্যাক্তি জানান,সরকারি ভাবে ব্যাবসা করায় ওখানে ওভারলোড বন্ধ। তাই কোন গাড়ি ওখানে যাচ্ছে না।সেই কারনে রয়ালিটি দিয়েও মাল বিক্রি করতে পারছেন বৈধ বালি মালিকেরা।উনি এও বলেন যে অবৈধ ব্যাবসায়ীরা অভারলোড দিয়ে কম দামে বালি বিক্রি করছেন।উনি দুঃখের সাথে জানান,লেবার চার্জ,মেশিন এর কিস্তি না দিতে পেরে প্রায়ই অসম্মানিত হচ্ছেন।এছাড়াও প্রায় পঁচিশ ত্রিশটি পরিবার নির্ভরশিল এই ব্যাবসার ওপর।শ্রমিকদের ঠিক মতো টাকা মেটাতে খুবই অসুবিধের মুখে পড়তে হচ্ছে বারবার।বৈধ বালি ব্যাবসায়ীরা যে খরচ এ ব্যাবসা চালাচ্ছেন, তার থেকে অনেক কম খরচে অবৈধ ব্যাবসায়ীরা বালি খদ্দেরদের বাড়িতে পৌছে দিচ্ছে।


এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূমি রাজস্ব দপ্তরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা শাসক সুদিপ্ত পোড়েল বলেন আমাদের ৯ টা বৈধ খাদান রয়েছে, সেখান থেকে আমরা বালি দিয়ে থাকি। তার বাইরে যারা অবৈধ ভাবে বালি খাদান তৈরি করছে সে বিষয়ে আমরা প্রতিদিন প্রতিমাসে অভিযান চালাইয়ে বহু বালি বছাই লরি কে আটক করে লক্ষাধিক টাকার ফাইন করা হচ্ছে। এবং বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

 বৃহস্পতিবার বালি খাদান নিয়ে ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন রাজ্যে বালি খাদান নীতির কেন্দ্রীয় করণ করা হচ্ছে ।বালি মাটির মতো প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করা যাবে না। অনিয়ম দেখলে কাউকে ছাড়া হবে না । প্রশাসনিক অভিযান মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও অবৈধ কারবার বন্ধ করা যাচ্ছে না। এবার আরো কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।

No comments