হলদিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পৌর এলাকা থেকে সরানোর উদ্যোগ।রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিং করে হলদিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বিপিএসসি পৌরসভা থেকে ব্লক এলাকায় সরানোর তোড়জোড় শুরু করলো। পৌরসভা এলাকা থাকার কারণে প্রশাসনিক ও পরি…
হলদিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পৌর এলাকা থেকে সরানোর উদ্যোগ।রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিং করে হলদিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বিপিএসসি পৌরসভা থেকে ব্লক এলাকায় সরানোর তোড়জোড় শুরু করলো। পৌরসভা এলাকা থাকার কারণে প্রশাসনিক ও পরিষেবা দেওয়া সমস্যা হচ্ছে হলদিয়া বাড়ঘাসীপুর বিপিএইচসির।বিপিএইচ এক দশকের বেশি সময় ধরে টান পড়া চলছে ২০১৩ সাল থেকে প্রায় আট বছর ধরে ব্লক রোগী কল্যাণ সমিতির গভর্নিং বডির মিটিং হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ঐ স্বাস্থ্য কেন্দ্র অন্তর দীর্ঘদিন মেরামত হয়নি ।ফলে বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে খসে পড়ছে ছাদের চাচড়। অভিযোগ সব সময় আতঙ্কে থাকেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রা একই সঙ্গে রয়েছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য সন্ধ্যে নামলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছাড়তে বাধ্য হন চিকিৎসক ও কর্মীরা পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ায় বাড়ছে ভোগান্তি।আশির দশকে হলদিয়ার নোটিফাইড এরিয়া ঘোষণার সময় ব্লকের অধিকাংশ শহরের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে হলদিয়া নোটিফায়েড এরিয়া থেকে পৌর এলাকায় ঘোষণা করা হয় ।ওই সময় থেকে বর্তমান হলদিয়া ব্লক এর প্রবর্তন সুতাহাটা 2 ব্লক বাড়ঘাসিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং দেভোগ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিএইচসি দুটি শহরের মধ্যে থেকে যায়। চারপাশে কারখানা গড়ে ওঠা দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৫ বছর আগে দেভোগ পি এইচসিকে সিটি সেন্টার এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ক্ষুদিরাম নগর উদ্বাস্তু কলোনি এলাকায়। দুই কোটি টাকা খরচ করে দেভোগ পিএইচসি র নতুন পরিকাঠামো গড়ে দেয়।অন্যদিকে বাড় ঘাসিপুর বিপিসিকে ব্লক এলাকার বাড়সুন্দরায় সরানোর উদ্যোগ শুরু হলেও তা মাঝপথে আটকে রয়েছে । জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্ধারিত কর্মসূচী ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নামমাত্র আউটডোর চিকিৎসা হয়। ইনডোর পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বাড় ঘাসিপুর বিপি এইচ সিতে ঠিকমত ডাক্তার থাকেনা ।দুটি জায়গাতেই ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন গুলি কার্যত ভূতের বাসা হয়ে উঠেছে। ব্লক চিকিৎসাকেন্দ্র হলেও এই দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মূলত পৌরসভার ১০ থেকে ১৫ টি ওয়ার্ডের মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। গ্রাম এলাকায় কেউ তেমন এখানে আসেন না। কিন্তু চিকিৎসা করাতে এসে অধিকাংশ দিন ডাক্তার না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে ।হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি চন্দন সামন্ত বললেন ২০১৭ সাল নাগাদ বাড়ঘাসীপুর বিপিএইচসি কে বাড়সুন্দরায় সরানোর প্রশাসনিক উদ্যোগ শুরু হয়। এজন্য বাড়সুন্দরা পিএইচসি কে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উন্নত করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্য কে চিঠি পাঠায়।তৎকালীন সি এম ও এইচ বাড়সুন্দরার পরিকাঠামো ঘুরে দেখে স্বাস্থ্য দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়ে ছিলেন। পরে কেউ তদারকি না করার বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে।হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা বললেন নিয়ম অনুযায়ী বিধায়ক ব্লক রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হন দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান না থাকায় 2013 সাল থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির গভর্নিং বডির মিটিং হয়নি এবার মিটিং করে বিপিএসসি স্থানান্তরের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছেন বিপিএসসি করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামোর রয়েছে এ জন্য ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ করা 24 ঘন্টা ইনডোর পরিষেবা চালু হয়েছিল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঔষধ অ্যাম্বুলেন্স ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় গাড়ি যাতায়াতের রাস্তা দরকার আশ্রম মোড়ের কাছে সেজন্য কংক্রিট রাস্তাটি চওড়া করার উদ্যোগ নেয়া হবে। বিধায়ক চক্রবর্তী বললেন স্থানান্তর প্রক্রিয়া চিঠি সংক্রান্ত ফাইল চাওয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। শীঘ্রই স্বাস্থ্যকেন্দ্র দুটিকে প্রশাসনিক ভিউজ করে স্বাস্থ্য দপ্তরে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
No comments