Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কেন্দ্র সরকার রাজ্যে কে ২১ লক্ষ্য ভ্যাকসিন, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করো না বিধি মেনে চলার নির্দেশ

চাহিদামতো ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখাও করেছেন। রাজ্যে ২১ লক্ষ ভ্যাকসিন আসছে বলে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছ…

 








 চাহিদামতো ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখাও করেছেন। রাজ্যে ২১ লক্ষ ভ্যাকসিন আসছে বলে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সাড়ে ন’লক্ষ কোভিশিল্ড চলে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোভ্যাকসিন আসতে চলেছে। আগামী কাল আরও আট লক্ষাধিক টিকা আসতে চলেছে।  নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শহর, শহরাঞ্চল এবং বস্তি এলাকার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেইমতো স্বাস্থ্যদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুর এলাকায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ ভালো মতোই হয়েছে। এক্ষেত্রে ত্রুটি আছে বারাকপুর মহকুমায়। মনে করেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা। তাই এবার উত্তর ২৪ পরগনায় বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার জন্য প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। চিঠিতে তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও অবহেলা করা যাবে না। সামনেই উৎসবের মরশুম। আর এই মরশুমে করোনা বিধি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। বিধিনিষেধ মানতে হবে। আর যে রোগীর মাধ্যমে করোনা ছড়ায় তার দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ পাঠানোর জন্য মুখ্যসচিবদের বলা হয়েছে। আপাতত আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করোনা বিধি মানতে হবে।

বুধবার করোনা সংক্রমণের হিসেব খতিয়ে দেখা গিয়েছে, দৈনিক কোভিডে মৃত্যুতেও শীর্ষে চলে এল দার্জিলিং। সংক্রমণের দিক থেকে প্রথম সারিতে ছিলই দার্জিলিং। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তার মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিঙে। তারপরই বেশি মৃত্যু হয়ে কোচবিহারে। আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৫ জন। রাজ্যের পজিটিভিটিও আগের তুলনায় সামান্য হলেও বেড়ে হয়েছে ১.৮১ শতাংশ। তবে এরই মধ্যে আশার খবর হল, করোনা শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ শতাংশেরও নীচে নেমে হয়েছে ৩.৯৯।

দার্জিলিংয়ের মতো দুই ২৪ পরগনা এবং কলকাতা নবান্নের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা নিয়ে উদাসীন থাকার কোনও সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যদপ্তর এবং জেলাশাসকদের প্রতি তাঁর নির্দেশ সহ পরিষ্কার করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে ‘সুপার স্পেডার’ বলে যাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

No comments