জাতীয় মানবিধকার কমিশনের রিপোর্টের জেরে রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দিল। এজন্য আর কোনও সময় দেওয়া হবে না। এই কথা জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্…
জাতীয় মানবিধকার কমিশনের রিপোর্টের জেরে রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দিল। এজন্য আর কোনও সময় দেওয়া হবে না। এই কথা জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ আগস্ট। নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ রিপোর্ট সহ দেহের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং এদিন বেঞ্চে জমা পড়েছে। রাজ্য জানায়, ২৬ জুলাই কমিশন ৯৫১ পাতার একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। কমিশনের আগের রিপোর্টে যা ছিল না। ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের এই নয়া অভিযোগুলির জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়। এই আর্জির বিরোধিতা করে মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, শুনানিতে দেরি হলে ক্ষতিগ্রস্তদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। কারণ, হিংসা এখনও চলছে। অভিযোগুলির তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করার দাবিও করা হয়। বলা হয়, এই ব্যাপারে যত দেরি হবে, সাক্ষ্যপ্রমাণের ততই ক্ষতি হবে। কারণ, এই বিষয়টিতে কুকর্মের ভাগীদার পুলিসও। ক্ষতিগ্রস্তদের ধারাবাহিকভাবে হুমকি দিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হলে এই প্রসঙ্গে কোথাও কোনও এফআইআর হয়েছে কি না জানতে চায় বেঞ্চ। তা যদি না-থাকে, তাহলে রাজ্যকে অতিরিক্ত সময় না-দেওয়ার আর্জিও গ্রহণযোগ্য নয়। জানায় বেঞ্চ। এদিকে, রাজ্যের তরফে এদিন একটি পেনড্রাইভ আদালতে জমা পড়ে। ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া আইনসম্মত বয়ান সম্পর্কে কমিশনের কিছু সদস্যের প্রকাশ্যে করা বক্তব্যের রেকর্ডিং সেখানে রয়েছে। অন্যদিকে, কমিশনের আইনজীবী জানান, রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেও তাঁরা আরও যেসব অভিযোগ পেয়েছেন, সেগুলি রাজ্য পুলিসের ডিজি-কে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে চান।
No comments