করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর ফের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে।শ্রীঘ্রই আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে।এই পরিস্থিতিতে ব্যপকভাবে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে 'কোভিডের বিরুদ্ধে হলদিয়া' সংস্থার উদ্যোগে শিল্পশহর হলদি…
করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর ফের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
শ্রীঘ্রই আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে।
এই পরিস্থিতিতে ব্যপকভাবে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে 'কোভিডের বিরুদ্ধে হলদিয়া' সংস্থার উদ্যোগে শিল্পশহর হলদিয়ার রাণীচক হাইস্কুলে অক্সিজেন পার্লার তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে কীভাবে একজন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হবে এবং কীভাবে ব্যবস্থা করা হবে তার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সংস্থার সকল সদস্যদের নতুন করে বিভিন্ন কাজ শেখানো হচ্ছে।
যেখানে প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া সাধারণ মানুষকে সচেতনতা করা যায় না,
সেখানে সংস্থার সদস্যরা প্রথমে নিজের বাড়ির চারপাশের মানুষকে সচেতন করছে এবং ধীরে ধীরে স্বল্প পরিসর থেকে এই সচেতনতা প্রচার পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়বে।
করোনা কালে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক,স্যানিটাইজারের যোগান দিতে এই সংগঠন ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে দিয়েছে।
এর পাশাপাশি হলদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সাফাই করা হচ্ছে এবং জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের কাছে একটাই বার্তা 'কোভিড কিন্তু পুরোপুরি চলে যায়নি।এবং কোভিডের কোন চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি।বর্তমানে টীকাকরণ চলছে।কিন্তু টীকা নেওয়ার পর কতদিন কোভিড দূরে থাকবে সেই সংক্রান্ত সঠিক ধারনা আমাদের কাছে নেই।তাই সকলকে অনুরোধ মাস্ক পরুন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন'।
বাইরে বেরালে অবশ্যই মাস্ক পরুন।আবার বাড়ি ফিরে এলে সাবান দিয়ে হাত ধুইতে হবে।
২০২০ সালে থেকে করোনা কাল শুরু হয়েছে।
এই সময়ে নিজেকে খুব সাবধানে রাখতে হবে।
করোনার সামান্য বা মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেও সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নিজেকে সকলের থেকে আলাদা ভাবে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
কারন,এই পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়ে গেলে হার্ড ইমিউনিটি বা সুরক্ষার জন্ম নেয়।
যেখানে একটা সোসাইটিতে সুরক্ষিত হয়ে যায়।
এইভাবে চলতে থাকলে ওই জায়গায় পৌঁচ্ছাতে এখনো প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে।
তৃতীয় ঢেউ বিশেষ করে ছোটদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
এক্ষেত্রে নতুন একটি উপসর্গ এসেছে যার নাম এম.আই.এ.এস।
এটি খুব ভয়ঙ্কর এবং আজ ওবদি এই রোগ কখনো ছোটদের হয়নি।
কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ শিশুদের আই.সি.ইউ তে ভর্তি রাখতে হবে।
কিন্তু ভারতের মতো গরীব দেশে বিভিন্ন রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতালে ওই সংখ্যক আই.সি.ইউ বেড নেই।
তাই এর থেকে রেহাই পেতে ছোটদের বিশেষ করে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
তাদের বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুইতে বলা,বাইরে বেরালে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার অভ্যাস শেখাতে হবে।
ফলে কিছুটা হলেও তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করা যাবে।
দেশের বিভিন্ন শিল্প শহরের মতো হলদিয়া শিল্প শহরে কোভিড রুখতে বেশি করে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে।
যাতে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
এবং যে এলাকায় সংক্রমনের হার বেশি ধরা পড়বে।
সেই এলাকা গুলোকে মাইক্রো-কন্টেইমেন্ট জোন হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
এবং প্রত্যেকটি শিল্প সংস্থা কে কঠোর নিয়ম পালন করতে হবে।
যাতে সবাই মাস্ক পরে,স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।
শুধুমাত্র হলদিয়া শহরে অসুখ বলে কোন সংঞ্জা হয় না।
একটি শহর থেকে খুব দ্রুত কোন রোগ আশপাশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
তাই নিজের বা নিজেদের শহরকে বাঁচাতে নিজেদেরই সচেতন হতে হবে।
No comments