গত ১৩ ই জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত চকগোপাল গ্রামে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক ছেলেদের ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির। তারাপীঠের আদলেই মন্দির য…
গত ১৩ ই জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত চকগোপাল গ্রামে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক ছেলেদের ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির। তারাপীঠের আদলেই মন্দির যেমন তৈরি করা হয়েছে পাশাপাশি তারা মায়ের আদলে করা হয়েছে দেবীমূর্তী। মন্দির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চলছে করোনার প্রকোপের জেরে লকডাউন। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকার কারণে পুজো এবং দেবী দর্শনের ক্ষেত্রে নিয়মবিধি মেনেই চলছিলো পূজো ও দেবীদর্শন।তারাপীঠের আদলে গড়া এই মন্দিরটি দর্শন ও তারা মায়ের কাছে পূজো দিতে ভিড় জমাতো বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী। তবে দ্বিতীয় লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকারি নিয়ম মেনে মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দিরের ক্রিয়াকর্ম ও ভক্তদের জন্য দেবীদর্শন বন্ধ রাখে।তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন মন্দির খোলার ক্ষেত্রে নিয়মবিধি কিছুটা শিথিল করায় গতকাল রাত থেকে শুরু হলো পুনরায় দেবীদর্শন ও তারা মায়ের পূজোঅর্চনা।তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দিরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের বেশ কিছু নিয়ম বিধি চালু করেছে। মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে পূজো দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে হবে। পূজো প্রক্রিয়া চলবে সকাল বিকেল ও সন্ধ্যায়।মোটের ওপর সরকারী কোভিড নিয়ম মেনে চলতে হবে সবাইকে,এমাটাই সিদ্ধান্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের।সবমিলিয়ে দীর্ঘদিন পর চকগোপাল গ্রামে তারাপীঠের আদলে গড়া এককথায় দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির দীর্ঘদিন পর মন্দিরের দরজা খোলায় খুশি দর্শনার্থীদের।
No comments