সমাজে তারা তৃতীয় লিঙ্গ ,সাদামাঠা দৈনন্দিন জীবন যাপন না হলেও বেশ কিছুটা সংগ্রামের মধ্যেই কাটে তাদের দৈনিক জীবন যাপন।সামাজিক স্বীকৃতিতে পেছন সারিতে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের বৃহন্নলাদের করোনার ভয়াবাহ পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেনীর যোদ্ধা হিস…
সমাজে তারা তৃতীয় লিঙ্গ ,সাদামাঠা দৈনন্দিন জীবন যাপন না হলেও বেশ কিছুটা সংগ্রামের মধ্যেই কাটে তাদের দৈনিক জীবন যাপন।সামাজিক স্বীকৃতিতে পেছন সারিতে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের বৃহন্নলাদের করোনার ভয়াবাহ পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেনীর যোদ্ধা হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে দেখাগেল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া,তমলুক, মেচেদার বিভিন্ন প্রান্তে।খিদে পেটে চোখে মুখে শুষ্কতার ছাপ নিয়েই ডাস্টবিনের দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষগুলো এখন বেজাই খুশি কারন দুবেলা পেটভরে খাওয়ার জোটে তাদের।খুশি করোনায় আক্রান্ত পরিবারের মানুষজনও কারণ সকাল সন্ধ্যায় বৃহন্নলাদের শান্তিধাম মাথায় তুলে নিয়েছেন করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের খাওয়ারের দায়িত্ব , সাথে ভবঘুরে এবং রাস্তার ধারে বসে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষেদেরও।আক্রান্ত পরিবারের অনান্য সদস্যদের ১৪ দিন হোম আইসোলেশানে থাকাকালিন সব চেয়ে বেশি সমস্যা হত খাওয়ারের কিন্তু তা এখন প্রায় দূরীভূত ,কারণ বৃহন্নলাদের তৈরি শান্তিধাম এগিয়ে এসেছেন ওই সমস্ত পরিবারে কাছে খাওয়ার পৌঁছে দিতে।বৃহন্নলাদের অভিভাবক বড়মার দাবি- ২০১৯ করোনা কালথেকে সাধারণ মানুষকে এই পরিসেবা দিয়ে আসছেন তারা(পাঁশকুড়া বৃহন্নলা সংস্থা শান্তিধাম)এবং পরে করোনা মহামারি এই ভয়াবাহ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে এভাবেই পরিষেবা দিয়ে যাবেন।সমাজ যাদেরকে পিছন সারিতে রাখে সমাজের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে এবং তাদের কাজকর্ম করতে পেরে নিজেদেরকে যথেষ্টই গর্বিত মনে করছেন বৃহন্নলা সংস্থার দুই কর্মী।পাশাপাশি করোনা সিচুয়েশনে খাওয়ারের জোগান পেয়ে বেশ কিছুটা সঙ্কটমুক্ত আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা।ডাস্টবিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও করোনা পরিস্থিতিযে বৃহন্নলাদের প্রতি আস্থাভাজন হচ্ছেন পথচলতি ভবঘুরে, ভিক্ষুক এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরা।
No comments