কোভিড১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ভিন রাজ্যের ট্রাকচালক ও খালাসিদের যেন কারখানায় ঢুকতে না দেয়া হয় এই মর্মে চিঠি দিল শিল্প সংস্থার আধিকারিকদের হলদিয়া পৌরসভা। শিল্প সংস্থা গুলির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে করণা সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ব…
কোভিড১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ভিন রাজ্যের ট্রাকচালক ও খালাসিদের যেন কারখানায় ঢুকতে না দেয়া হয় এই মর্মে চিঠি দিল শিল্প সংস্থার আধিকারিকদের হলদিয়া পৌরসভা। শিল্প সংস্থা গুলির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে করণা সংক্রমণ ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি নেওয়ায় পৌরসভার এই নির্দেশ। শিল্প শহরে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে হাজার ছুঁয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে অর্ধেকের বেশি কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ও তাদের পরিবার লোকজন। বড় শিল্প সংস্থা গুলিতে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন করে আক্রান্ত। শ্রমিক সংগঠন গুলির অভিযোগ হলদিয়ার সিংহভাগ শিল্প সংস্থাকোভিড বিধি অমান্য করে 100% শ্রমিক নিয়ে কাজ করছে। শিল্প শহরের প্রবল সংক্রমণের সময় ও নাম টা ওয়ান্ত স্যানিটাইজেশন ছাড়া কিছুই হচ্ছেনা। বেশি মাত্রার শ্রমিকরা আক্রান্ত হওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা কে দায়ী করছেন তারা। হলদিয়া সংক্রমণ করোনার মৃত্যুর পরিসংখ্যান মাত্রা ছাড়াই হতেই টনক নড়লো হলদিয়া পৌরসভার কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে ২৪জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই ৩৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যেই ১২-১৪ জন রয়েছেন। কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের হার এবং মৃত্যু বেশি হওয়ায় চিন্তায় ফেলেছে পৌর কর্তৃপক্ষ কে। পৌরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু শেখর মন্ডল বললেন শিল্প শহরে করোনা সংক্রমনের উদ্ধগতি নিয়ে পৌরসভা উদ্বিগ্ন ।সেজন্য সংক্রমণ ঠেকানোর সংক্রামিত কে চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কয়েকটি জরুরি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিল্প সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে বলেছি বাইরে থেকে ট্রাক ও লরীর খালাসী ও ড্রাইভার দের করোণা টেস্টের রিপোর্ট দেখা হোক। কারোর যদি না থাকে তাহলে পৌরসভা তাদের টেস্ট করে রিপোর্ট দেবে। শুধু ট্রাকচালক নয় কারখানার শ্রমিকদের পৌরসভা টেস্ট করে দেবে। টেস্ট কিট সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে শিল্প সংস্থা গুলির সহায়তার সাহায্য চাওয়া হয়েছে। হলদিয়া বন্দর এবং শিল্প শহরের সব কারখানায় জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য রাজ্যে "আত্মশাসন" পরিস্থিতিতে চালু রয়েছে। হলদিয়া ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর দেবায়ন দে বললেন কভিড বিধি মেনে কারখানা গুলিকে অনেকদিন কোভিড মারার জন্য 50% শ্রমিক-কর্মচারীকে ব্যবহার করা কাজে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধিমানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে শ্রমদপ্তর এর সঙ্গে যৌথভাবে ঘুরে দেখেছি। কয়েকটি ভোজ্যতেল সংস্থা এই নিয়ম পুরোপুরি মানছেন না। সিটি সেন্টার এলাকায় একটি ভোজ্যতেল সংস্থার আপাতত একটি ইউনিট বন্ধ রেখেছে। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল শ্রমিক-কর্মচারীরা বললেন 100% শ্রমিক-কর্মচারীর নিয়েই কাজ চলছে। লকডাউন থাকার পরও বহু কর্মী দূরদূরান্ত থেকে যাতায়াত করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। কোভিড১৯ বৃদ্ধির জন্য বিপাকে পড়ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। মজুরি মেটানোর কোনো নির্দেশ সরকারি না থাকায় এবার শ্রমিকরাও কাজ বন্ধ করছে না। হলদিয়া ছোট-বড় কারখানা মিলে একই পরিস্থিতি। কারখানা কর্তৃপক্ষের যুক্তি জরুরী পরিষেবা অব্যাহত রাখতেই এ ছাড়া কোন উপায় নেই
No comments