একুশের নির্বাচনের আগেই হলদিয়া এক্সাইড কোম্পানি শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। রাজ্যের শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় সমস্ত কারখানা ইউনিয়ন ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি একমাত্র দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের আগে জেলার তৃণমূল ক…
একুশের নির্বাচনের আগেই হলদিয়া এক্সাইড কোম্পানি শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। রাজ্যের শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় সমস্ত কারখানা ইউনিয়ন ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি একমাত্র দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের আগে জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি আজগর আলী (পল্টু) শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করেছিলেন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নেতৃত্ব ঠিক হবে। গত ছ'মাস আগে আইএনটিটিইউসি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল, অভিযোগ ছিল ইউনিয়নের সম্পাদক সহ কিছু সদস্য দাদার অনুগামী ও পরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়।বর্তমানে এখনো পর্যন্ত দলিয়ভাবে কোনো শ্রমিক সংগঠন তৈরী করা হয় নাই বা উদ্যোগও নেওয়া হয় নাই। এক শ্রমিক বললেন
Exide- Haldia বর্তমান দাবি
শ্রমিকরা অনাথের মত পরিস্থিতিতে পড়েছে।
কাজের জায়গায় কোনো সমস্যায় পড়লে জানানোর জায়গা নেই।
management এর সব কথায় হামি ভরতে হচ্ছে, উপায় নেই।
কোনো ছোট কারনে কারো গেট বন্ধ হলে, সে দিশাহীন হয়ে পড়ছে।
কর্মীদের কেন্টিন পরিষেবা ঠিক আছে নাকি দেখার কেউ নাই।কোনো শ্রমিক মারা গেলে সমস্ত শ্রমিক ভাইদের অনুদান একত্রিত করে এককালীন ওই শ্রমিকের ফেমিলির হাতে তুলে দেওয়া হয়, এখন সেটা কিভাবে হবে? কোনো শ্রমিক রিটায়ার্ড করলে, তিনি তার Gratuity সময়মতো পাচ্ছেন কিনা, সেটা দেখার কেউ নেই।এই কোভিড১৯ এ সমস্ত কোম্পানি শ্রমিকদের যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, আমাদের কোম্পানি দিচ্ছে কিনা দেখার কেউ নেই।
এই Pandemic এ Corona Guidelines কিংবা কাজের জায়গায় Safety Guideline মানা হচ্ছে কিনা দেখার কেউ নেই। চাটার্ড ডিমান্ড এর সময় সীমা ১৫ মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, সেটা নিয়ে আলোচনা করার কেউ নেই।
এক কথায় আমরা Exide- Haldia এর শ্রমিক এখন অন্ধের মত দিশাহারা অবস্থায় রয়েছে। একটু আলো দেখান। দল ক্ষমতায় এসেছে দলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব ঠিক হয়নি। ফলে সমস্যা আরো তীব্রতর হচ্ছে
No comments