শনিবারই খবর পাওয়া গিয়েছিল, সব কিছু ঠিক থাকলে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটাই সত্যি হল। সোমবার শুভেন্দুকেই বিরোধী দলনেতা হিসাবে ঘোষণা করল বিজেপি।বিরোধী দলনেতা বাছতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসা…
শনিবারই খবর পাওয়া গিয়েছিল, সব কিছু ঠিক থাকলে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটাই সত্যি হল। সোমবার শুভেন্দুকেই বিরোধী দলনেতা হিসাবে ঘোষণা করল বিজেপি।
বিরোধী দলনেতা বাছতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। সোমবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে দলের ৭৭ জন বিধায়ককে হাজির থাকতে বলা হয় বলে খবর। সেই বৈঠকের পরে রবিশঙ্কর জানান, বিধানসভায় দলের নেতা এবং বিরোধী দলনেতা হিসেবে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নাম প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছিল। দলের বিধায়ক তথা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেন। ওই নামে আরও ২২ জন বিধায়ক সমর্থন করেন। বাকি বিধায়করা কোনও নাম প্রস্তাব করেননি। তাই শুভেন্দুকেই দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হল।
যদিও শুভেন্দুর পাশাপাশি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের নামও আলোচনায় ছিল বলে সূত্রের খবর। তবে বিজেপি নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মুকুল দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তাঁকে সাংগঠনিক কাজও দেখতে হবে। তা ছাড়া এই প্রথমবার বিধায়ক হলেন মুকুল। তুলনায় অভিজ্ঞ শুভেন্দু। বিধানসভায় থাকার পুরনো অভিজ্ঞতা এবং নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ‘জায়েন্ট কিলার’ হওয়ায় তাঁকেই বিরোধী দলনেতার মর্যাদা দিতে আগ্রহী ছিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তবে মুকুল ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছিলেন, বিরোধী দলনেতা হওয়ার লড়াইয়েই নেই মুকুল। তিনি নিজেই অনিচ্ছার কথা দলকে জানিয়ে দিয়েছেন। সোমবার দেখা গেল, তিনিই শুভেন্দুর নাম প্রস্তাব করেন।
No comments