এক যুবকের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল স্কুল ছাত্রী ৷ সেই কারণে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল ওই যুবক৷ ক্রমাগত হুমকি সহ্য করতে না পেরে নিজেকেই শেষ করে দেয় ওই স্কুল ছাত্রী৷ বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷ এই ঘটনায় পুলিশ অভ…
এক যুবকের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল স্কুল ছাত্রী ৷ সেই কারণে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল ওই যুবক৷ ক্রমাগত হুমকি সহ্য করতে না পেরে নিজেকেই শেষ করে দেয় ওই স্কুল ছাত্রী৷ বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷ এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে৷
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে৷ তালপাটি উপকূল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সৈকত পান্ডা৷ কুঞ্জপুর এলাকার বাসিন্দা সে৷ রবিবার সৈকতকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়৷ অভিযুক্তের জামিন নাকচ করে তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷ জানা গিয়েছে, কুঞ্জপুর বাজারে রঙয়ের দোকান রয়েছে অভিযুক্তের৷ ওই বাজারে বিভিন্ন কাজে যেত দশম শ্রেনির ছাত্রী অঙ্কিতা মাইতি৷ সেখানেই অঙ্কিতাকে দেখে সৈকত৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরই অঙ্কিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় সৈকত৷
কিন্তু ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি অঙ্কিতা৷ অভিযোগ, এরপরই তাকে ধমক দেয় সে৷ শুধু তাই নয়, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় সে৷ অঙ্কিতাকে জানায়, সে তার পরিবারের সদস্যদেরও মেরে ফেলবে৷ এতেই আরও ভয় পেয়ে যায় অঙ্কিতা৷ বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়৷ সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অঙ্কিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে৷
যমে মানুষের টানাটানির পর অবশেষে ৬ মে তমলুক হাসপাতালে মৃত্যু হয় নাবালিকা মেয়েটির৷ এরপরেই অঙ্কিতার বাবা সৌগত মাইতি তালপাটি উপকূল থানায় সৈকতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ছেলেটি ওকে ধমক দিতে থাকে৷ এসব সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বিষপান করে অঙ্কিতা৷ মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত তদন্ত চাই৷’’
তালপাটি উপকূল থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে মৃত স্কুলছাত্রীর বান্ধবীদেরও জিজ্ঞসাবাদ করা হবে৷’’
No comments