গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা কর্মীকে প্রলোভন দেখিয়ে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে,সহবাস ।এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার মহিষাদল ব্লক এ বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতে। উভয়ের বাড়ি মহিষাদল ব্লক এ। ও…
গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা কর্মীকে প্রলোভন দেখিয়ে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে,সহবাস ।এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার মহিষাদল ব্লক এ বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতে। উভয়ের বাড়ি মহিষাদল ব্লক এ। ওই মহিলা বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী (রিঙ্কু ব্যানার্জি)। অভিযুক্ত বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান পাপ্পু লাল প্রামানিক। এই বিষয় নিয়ে অভিযোগকারী মহিলা হলদিয়া দূর্গাচকে মহিলা থানায় ২৯/৩/২১ তারিখে এফআইআর দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া মহিলা থানা অভিযুক্ত পাপ্পু লাল প্রামানিক কে গ্রেফতার করেন। আজ তাকে হলদিয়া মহকুমা কোর্টে তোলা হয়।
জানা যায়, পাপ্পু লাল প্রামানিক এর স্ত্রী ও একটি 5 বছরের শিশু রয়েছে। তিনি অবিবাহিত বলে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ওই মহিলা কর্মীর সাথে।
অভিযোগকারী ওই মহিলা জানায়, তাকে চাকরির প্রমোশনের লোভ দেখিয়ে ,বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছেন। এছাড়া নাচিন্দা মন্দির এ গিয়ে দুজনে বিয়েও করেছেন এবং দিঘায় দু রাত কাটিয়েছেন তার সাথে।
তরুণী অভিযোগ উপপ্রধান তাকে বিভিন্ন সময়ে পদন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সহবাস করেন।দীর্ঘদিন প্রেমের অভিনয় করে অঞ্চলে ডি গ্রুপের এক মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে মেলামেশা করে এবং অশ্লীল ছবি তুলে নেয়। সম্প্রতি ওই তরুণী পাপ্পু লাল কে বিয়ের কথা বললে তিনি বেঁকে বসেন।। জানা যায় উপপ্রধান বিবাহিত এবং তার পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে।মেয়েটিকে বারবার ভয় দেখানো হয় যদি কাউকে কিছু বলে তাহলে তার এই সকল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই মহিলা আজ থানায় অভিযোগ করলে হলদিয়া মহিলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আজ হলদিয়া মহাকুমার আদালতের বিচারক তাকে১৪ দিনের জেল হেফাজত। এই ঘটনায় তৃণমূলকে বিদেশে বিজেপি মহিষাদল বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায়বলেন শাসকদলের উপপ্রধান হওয়ার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তৃণমূল উপপ্রধান এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয় কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।মহিষাদল ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন উপপ্রধান দোষ করলে নিশ্চয়ই সাজা পাবে কিন্তু এই ঘটনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বিজেপির। হঠাৎ নির্বাচনের সময়ে এই ঘটনা সন্দেহের চোখে দেখছে সবাই।
No comments