বাংলা নববর্ষ বাঙালির পাতে থাকে নানা ধরনের মাছের পথ ।সেই পথে যোগান দিতে বাংলা বছরের শুরুতেই হলদিয়া উন্নয়ন ব্লক এ হলদিয়ার বাজারে দেখা গেল আমুর পেংবা কলসী পাবদা ডেকান রুই কাতলা সহ নানান জাতের মাছ। কিন্তু করোনাকালে এবার আগের মতো…
বাংলা নববর্ষ বাঙালির পাতে থাকে নানা ধরনের মাছের পথ ।সেই পথে যোগান দিতে বাংলা বছরের শুরুতেই হলদিয়া উন্নয়ন ব্লক এ হলদিয়ার বাজারে দেখা গেল আমুর পেংবা কলসী পাবদা ডেকান রুই কাতলা সহ নানান জাতের মাছ। কিন্তু করোনাকালে এবার আগের মতোভিড় নেই বাজারে। তাতেই হতাশ মাছ চাষীরা।নববর্ষ মানেই মাছচাষিরা আগাম বাজারে মাছ আনার জন্য পাইকারি কথা বলে থাকত কিন্তু এবছর পুরো বাজারটাই ফাঁকা ফাঁকা। হলদিয়ার বাজারে কলশি পাবদা মাছের কদর বেড়ে ছিল এমন এক বিশেষ দিনে। রুই-কাতলা তো বাঙালিয়ানা খাবার। এবার ছবিটা অন্য রকমের। হলদিয়া ব্লকের বিভিন্ন প্রগতিশীল মাছচাষিরা এই ধরনের মাছ চাষ করেছিলেন একটু লাভের আশায়। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল আরতি বর্মন ও তার পুত্রদ্বয় রুই কাতলা চাষ করেন। হলদিয়া এলাকায় বাজারে যেমন রুই কাতলা মাছ নেওয়ার জন্য ভিড় জমায় । আবার ভিন রাজ্যে রুই কাতলা নেওয়ার জন্য পাইকারি গাড়ির পর গাড়ির লাইন দিয়ে থাকে। গতবছর করোনার জন্য সে ধরনের মাছ বিক্রি হয়নি ।একদিকে মাছের খাবার আবার শ্রমিকদের সারা বৎসরের মাসোহারা মাস মাইনে বেতন পুকুরের লিজের টাকা দিতে বড়ই হিমশিম খেতে হয়েছে।বড় মাছ টাটকা জ্যান্ত ভিন রাজ্যে জল দিয়ে তাদেরকে জীবিত অবস্থায় নিয়ে যেত পাইকারি। কিন্তু এবছর নববর্ষে ছবিটা এক অন্যরকমের আরতী বর্মন দুঃখ করে বললেন আমরা একটা সময় বিভিন্ন এলাকা জায়গা নিয়ে পুকুর কেটে মাছ চাষ করেছি কিন্তু করোনা মহামারী আমাদের সকলের জীবনযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল ।হলদিয়া এলাকায় রুই কাতলা যেমন চাহিদা রয়েছে কিন্তু ভিন রাজ্যে এর চাহিদা অনেক বেশি ।অন্য সময় মাছ আড়তদার পাইকারি নিয়ে গেলেও। বছরের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষে সে ধরনের মাছ বাজারে পাইকারি মাছ নিয়ে বসে থাকলেও কেনাকাটার খরিদ্দার দেখা যায়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ ভয়ে ভয়ে জীবন যাপন করছেন আবার মাছের বাজার অনেকটাই হালকা হয়েছে। আরতি বর্মন বলেন সারা জেলা জুড়ে প্রায় ৫০০ বিঘা মাছ চাষ করে থাকি। প্রথমে ডিম পোনা নিয়ে ছাড়া মা পুকুর থেকে আরেকটি পুকুরে নিয়ে যাওয়া এবং তারপরে বড় পুকুরে রাখা তার জন্য প্রায় ৩০ জন শ্রমিক রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত মাছের প্রতি যত্ন নিচ্ছেন কিন্তু করোনার ঢেউ যদি আবার আসে তার হল কি হবে। মাছের বাজার অনেকটাই ভাল ছিল কিন্তু লকডাউন ঢেউ আবার সব স্তব্ধ হয়ে যাবে। মাছ বড় হয়েছে রাখা যাবে না লকডাউন যদি হয় রুই কাতলা বড় মাছ কে কোথায় নিয়ে যাব সেদিকে যেমন চিন্তা রয়েছে আবার ব্যাংকের লোন রয়েছে কিভাবে শোধ করবো একটা সময় হাসি ফুটল বছরের প্রথম দিন থেকে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে।
No comments