পরাধীন ভারতবর্ষের এক মহান বিপ্লবী কে নিয়ে আলোচনা কোরবো/তিনি অগ্নিযুগের মহান বিপ্লবী ঋষি অরবিন্দ ঘোষের সহোদর ঋষি রাজনারায়ণ বসুর
দৌহিত্র ভারত মায়ের মহান সন্তান
বীর বিপ্লবী বারীন্দ্র কুমার ঘোষ/
তিনি পরিচিত ছিলেন বরেন্দ্র কুমার ঘ…
পরাধীন ভারতবর্ষের এক মহান বিপ্লবী কে নিয়ে আলোচনা কোরবো/তিনি অগ্নিযুগের মহান বিপ্লবী ঋষি অরবিন্দ ঘোষের সহোদর ঋষি রাজনারায়ণ বসুর
দৌহিত্র ভারত মায়ের মহান সন্তান
বীর বিপ্লবী বারীন্দ্র কুমার ঘোষ/
তিনি পরিচিত ছিলেন বরেন্দ্র কুমার ঘোষ বা বরেন্দ্র ঘোষ বা বারিন ঘোষ নামে। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবী ও সাংবাদিক/তিনি বিপ্লবী যুগের এক অগ্নিশিখা হিসেবে পরিচিত ছিলেন /তিনি ছিলেন বাংলার বিপ্লবী সংগঠন 'যুগান্তর' এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য/ বারিন ঘোষ ছিলেন ঋষি অরবিন্দের অনুজ বা সহোদর /
# জন্ম:- ৫ ই জানুয়ারী ১৮৮০ সাল
# মৃত্যু :- ১৮ ই এপ্রিল ১৯৫৯ সাল,কলকাতা ।
# বাবা :- ডাঃ কৃষ্ণাধন ঘোষ
# মা : - স্বর্ণলতা দেবী
বারীন্দ্রর পৈতৃক গ্রামটি আমাদের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোননগর/বারীন্দ্র কুমারের বাবা ছিলেন ইয়ংবেঙ্গলের সদস্য ও ডি রোজিয়োর অন্ধ অনুগামী ডাঃ কৃষ্ণধন ঘােষ/ তিনি ছিলেন আই এম এস/একজন সুচিকিৎসক হিসেবে যথেষ্ট সুখ্যাতি ছিল তাঁর/ সেই সময়ে কলকাতায় শল্য চিকৎসায় তিনি ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজনদের মধ্যে এক জন /তাঁর মা স্বর্ণলতা দেবী ছিলেন সমাজ সংস্কারক, পণ্ডিত রাজনারায়ণ বসুর কন্যা/রাজনারায়ণ বসু প্রথম জীবনে ছিলেন বিপ্লবী এবং পরবর্তী জীবনে একজন আধ্যাত্মবাদী /অরবিন্দ ঘোষ ও মনমোহন ঘোষ ছিলেন তাঁর দুই বড় দাদা/মনমোহন ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, কলকাতা-প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির নামকরা অধ্যাপক/ তিনি ইংরেজি ভাষায় কবিতা রচনা করে সেই সময়ে বহু সুনাম অর্জন করেছেন/ সরোজিনী ঘোষ নামে তাঁর এক বড় দিদি ও ছিল/
@ ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ৫ জানুয়ারি সমুদ্রে-জাহাজে জন্ম হয়েছিল বারীন্দ্র কুমারের/জন্মে পর এক বছর কাটে ইংল্যাণ্ডে/ তারপর তিনি মা এবং দিদির সাথে ফিরে আসেন ভারতে/ তাঁকে ভরতি করে দেওয়া হয়েছিল দেওঘর বিদ্যালয়ে/শহর থেকে দূরে ছিল এই বিদ্যালয়টি / বহু গুনি শিক্ষক এই বিদ্যালয়টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন/তখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সবে মাত্র জন্মলাভ করেছে/ দেশের নানা স্থানে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়েছে/ জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় উপস্থিত হয়েছেন রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়/ কলকাতা শহর থেকে অনেক দূরে হলেও দেওঘরে এই রাজনৈতিক আঁচ লেগেছিল/ কিশাের বারীন্দ্রকুমার এমন কিছু বিশিষ্ট শিক্ষকের সংস্পর্শে এলেন ,যাতে তিনি জাতীয়তাবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন/ তাঁদের মাধ্যমেই বারীন্দ্রকুমার পরাধীন ভারতবর্ষের শােচনীয় পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন/সেই বয়েসেই দেশের জন্য স্বার্থ ত্যাগ করার সংকল্প গ্রহণ করলেন/ সেদিনের সেই কিশােরের মধ্যে আমরা দেখবো ভবিষ্যতের এক মহান বিপ্লবীকে/
# ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে ' Morning shows the day'তাঁর চাল চলন ,কথা বলার আঙ্গিক, উত্তর দেওয়ার ঘরানা ( style), চোখের দৃষ্টি বুঝিয়ে দিত ' এই ছেলে পৃথিবীতে এসেছে কিছু একটা আঁচড় রেখে যেতে '/
এটাই ঘটে থাকে সব বিপ্লবীদের ক্ষেত্রে / তাঁরা দেশ মাতৃকার শৃঙ্খল মােচনে জীবণ উৎসর্গ করবেন , জীবনের কোনাে সুখকে আত্মস্থ করার চেষ্টা করবেন না/ ব্যক্তিগত স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেবেন ,তাঁরা তাে এভাবেই হয়ে উঠবেন মহান পথের পথিক- এতে আর আশ্চর্য কী?
# ১৯০১ সালে দেওঘর বিদ্যালয় থেকে বারীন্দ্রকুমার প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করেন/ এবার তিনি পাটনা শহরে এসে এফ এ ক্লাসে ভর্তি হলেন কিন্তু ছমাস পড়ার পর ঢাকা কলেজে চলে যান/ এখানেও কিছুদিন পড়াশুনা করবার পর মাঝপথে পড়াশুনা বন্ধ করে চলে এলেন বরােদাতে/ তখন অরবিন্দ ইংল্যাণ্ড থেকে ফিরে বরােদায় অধ্যাপনা করছেন/ যশস্বী মহলে যথেষ্ট সম্মান আছে তাঁর/ ভাই বারীন্দ্রকুমার দাদার কাছে এলেন ব্যবসার মূলধনের আশায়/ বারীন্দ্রকুমার অরবিন্দের সংস্পর্শে এসে একেবারে পাল্টে গিয়েছিলেন/ তার মনের মধ্যে তখন দ্বিধা- দ্বন্দ্বের আলোড়ন/একদিকে সুখী জীবনের হাতছানি,অপরদিকে বিপ্লবী জীবনের কৃচ্ছসাধন/ শেষপর্যন্ত তাঁর জীবনের গতি পরিবর্তিত হয় — তিনি বিপ্লবী মন্ত্রে দিক্ষীত হয়ে বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন/ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়েছে/এর পাশাপাশি একের পর এক গ্রাম ও শহরে বৈপ্লবিক গুপ্ত সমিতি তৈরী হচ্ছে/ ১৯০২ সালে অনুশীলন সমিতি নামে একটি গুপ্ত সমিতি তৈরী হয়/ তার সভাপতি ছিলেন ব্যারিস্টার পি মিত্র/ তাঁর বাড়ি ছিল চব্বিশ পরগনা জেলার নৈহাটিতে /তিনি ছিলেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাবশিষ্য/বঙ্কিমচন্দ্রের মাধ্যমেই রাজনীতির জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন পি মিত্র / বঙ্কিমচন্দ্রের অনুশীলন বাদকে জীবনের সাথে একাত্ম করেছিলেন তিনি/তাই এই গুপ্ত - সমিতির নাম দিয়েছিলেন অনুশীলন সমিতি/তখন একই সময়ে বর্ধমান জেলার চান্না গ্রামের বীরযুবক যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ইংরেজের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন/যতীন্দ্রনাথ বরােদায় এসে সৈন্য বিভাগে কাজ নিলেন/ বেশ কয়েক বছর গােপনে মিলিটারি ব্যারাকে ট্রেনিং নিলেন/ নিজেকে বৈপ্লবিক আন্দোলনের উপযুক্ত করে গড়ে তুললেন/বরােদায় থাকার সময় অরবিন্দের সাথে যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যােগাযােগ হোল/ তারই প্রভাবে অরবিন্দ বৈপ্লবিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে ভারতে পরিচিত হলেন/তখন থেকেই অরবিন্দ কলকাতায় গুপ্ত সমিতির সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করে চললেন/
বারীন্দ্রকে তিনি তাঁর প্রধান সেনাপতি হিসেবে বেছে নিলেন / বারীন্দ্ৰ সেনাপতির মতো সেনা প্রধান ( অরবিন্দ) এর এই নির্দেশ মেনে নিলেন/বারীন্দ্রকে সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হোল/ মানিকতলার মুরারিপুকুর বাগানবাড়িতে 'যুগান্তর' দলের গােপন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে / বারীন্দ্র এসে এই কেন্দ্রের সাংগঠনিক প্রধান হলেন/ সঙ্গে পেলেন একদল দুঃসাহসিক বিপ্লবীদের/ অবিনাশ ভট্টাচার্য , উল্লাসকর দত্ত , হেমচন্দ্র দাস , উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় , হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল - এক ঝাঁক তরতাজা তরুন ( আগুনের গোলা)দের সাথে নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুললেন/তখন বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক থেকে আরও নতুন নতুন উদ্যমী যুবকদের দলে যুক্ত করা হচ্ছে/ কলকাতার পাশাপাশি মেদিনীপুর শাখাও সক্রিয় এবং কর্মক্ষম হয়ে উঠেছে/ বারীন্দ্রর কাজ ছিল বিভিন্ন শাখার মধ্যে যােগাযােগ স্থাপন করা/ শুধু তাই নয় , গুপ্ত সমিতিগুলিতে লাঠিখেলা , ছরা খেলা, ঘোড়ায় চড়া , বক্সিং , বন্দুক ছোঁড়া প্রভৃতির প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দেওয়া / বারীন্দ্র একনিষ্ঠ কর্মীর মতাে প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতেন এবং তিনি লক্ষ্য রাখতেন বিপ্লবীদের মধ্যে অনুশীলনেে যেন কোনো ফাঁকি না থাকে/ পি মিত্রের কলকাতার সার্কুলার রােডের বাড়িতে' অনুশীলন সমিতির' একটি কার্য্যালয় ছিল/ সেখানে কুস্তি , লাঠিখেলা,ছরাখেলা প্রভৃতি চর্চা হত/
@বারীন্দ্রকুমার' যুগান্তর 'দলের হয়েও কাজ করেছিলেন/এখানকার প্রধান কর্মী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কিছুদিন বাদে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়/ ব্যক্তিত্বের সংঘাত শুরু হয়/অবশ্য কলকাতাতে এসে সেই সংঘাতের অবসান ঘটে/
যুগান্তর' দলের কার্যালয় মুরারিপুকুরে স্থানান্তরিত হয়/ পূর্ববঙ্গের লেফটেনান্ট গভর্নর ব্যমফিল্ড ফুলার ছিলেন খুব অত্যাচারী/ তাঁর আদেশে স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত বহু বিপ্লবীকে নানাভাবে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছিলো/ স্বৈরাচারী ব্রিটিশ -পুরুষ ফুলারকে পৃথিবী থেকে সরাতে হবে সেই গুরু দায়িত্ব এসে পড়ল বারীন্দ্রর উপর/ ফুলারের ওপর ঈগল দৃষ্টি রাখলেন বারীন্দ্র/ ফুলার রঙপুর গেলেন সেখানে তাকে শেষ করবার দায়িত্ব দেওয়া হোল প্রফুল্ল চাকী নামে এক তরুণ বিপ্লবীকে/ শেষব্দি প্রফুল্ল চাকী চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন/বারীন্দ্রর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল , মজঃফরপুরের ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করা /
@ এজন্য মেদিনীপুরের ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকী কে নির্বাচিত করা হোল/ একাজেও তারা সফল হতে পারল না/ কিন্তু ক্ষুদিরাম বসু ধরা পড়লেন ও ফাঁসির মঞ্চে প্রান দিয়ে ভারতের বুকে অমর ইতিহাস সৃষ্টি করে গেলেন/ যুব সমাজের কাছে স্বাধীনতার জন্য ফাঁসির দড়ি (ফুলেরা মালা) গলায় পরার জন্য
হিড়িক পড়ে গেল/
@ মজঃফরপুরে বােমা বিস্ফোরণের পর ইংরেজ সরকার আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল/ কুখ্যাত দমননীতি প্রয়ােগ করল একটির পর একটি গুপ্ত ঘাঁটিতে অভিযান চালাল/ মানিকতলার মুরারিপুকুর বাগান বাড়ি তে গুপ্তঘাঁটি পুলিশ আবিষ্কার করে ফেলল/ এখানে পাওয়া গেল বােমা তৈরির যন্ত্রপাতি ,ডিনামাইট , বন্দুক , পিস্তল , রাইফেল এবং বিভিন্ন বই কাগজপত্র/ মুরারিপুকুরের পর কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতে একই সঙ্গে তল্লাশি চালানাে হল/ অনেক বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করা হল/ ধরা পড়লেন অরবিন্দ , বারীন্দ্র , উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় , নরেন গোঁসাই , চারুচন্দ্র রায় , অবিনাশ ভট্টাচার্য সহ চৌত্রিশজন বিপ্লবী/ সরকার এঁদের সকলের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের মামলা রুজু করলেন / বলা হল এঁরা রাষ্ট্রদ্রোহী , সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে পৃথক করতে চাইছেন/ ইংল্যাণ্ডের মহান রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করছেন /তাই এঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত এই মামলা আলিপুর বােমার মামলা নামে ইতিহাস খ্যাত/১৯০৮ সালে এই মামলা শুরু হয় এই মামলা চলে প্রায় দু বছর ধরে/ এই মামলা চলাকালীন বারীন্দ্র পুলিশের কাছে একটি সাহসােচিত স্বীকারােক্তি দিয়েছিলেন/ এমনকি সহকর্মীদেরও স্বীকারােক্তি দিতে প্রলুব্ধ করেছিলেন/ এরই মাধ্যমে বারীন্দ্র দেশের জনগণের কাছে বিপ্লবের বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন/ দেশের অধিকাংশ জনগণের এই স্বদেশি নায়কদের সম্পর্কে কোন ধ্যান ধারণা ছিল না/ বিপ্লবী সংগঠনের সাথে সাধারণ মানুষের কোনাে পরিচয় ছিল না/ ইংরেজরাও সুকৌশলে এইবিপ্লবী দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে করে বেড়াত/ বারীন্দ্র আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলেন।/ তিনি অরবিন্দকে আলাদা রাখলেন/তিনি জানতেন অরবিন্দ দেশের সম্পদ /একাধারে তিনি বাগ্মি এবং মহান বিপ্লবী/ তাঁকে যে করেই হােক সব অভিযােগের বাইরে রাখতে হবে/দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অক্লান্ত চেষ্টায় বিচারে অরবিন্দ মুক্তিলাভ করেন /
@ শেষ পযন্ত বারীন্দ্রর বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হল / বারীন্দ্রের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করা হল/ মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে বারীন্দ্রকে দেওয়া হল যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর / তাঁর সঙ্গে দ্বীপান্তরের দণ্ড পেলেন আর এক মহান বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত/ আরো অনেকের সাজা ঘোষণা হোল/
মানিকতলা-বােমার মামলার আসামী বারীন্দ্রকুমার ১৯০৯ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত কারারুদ্ধ ছিলেন/ শেষব্দি ১৯২০ সালে বারীন্দ্রকুমার মুক্তি লাভ করেন/ তারপর পণ্ডিচেরীতে অরবিন্দের আশ্রমে বেশ কিছুদিন কাটান/ আর সেই সময় বিখ্যাত' বিজলী' পত্রিকা প্রকাশ করেন /
@১৯৫০ সালে হয়েছিলেন দৈনিক বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক বারীন্দ্র কুমারের একাধিক লেখা গ্রন্থ বাংলা গদ্য সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে । যেমন- ‘অগ্নিযুগ ’ ,‘ ঋষি রাজনারায়ণ ’ ,‘ দ্বীপান্তরের বাঁশি ’, ‘ পথের ইঙ্গিত ,‘ আমার আত্মকথা ’ , এবং শ্রী অরবিন্দ প্রভৃতি ।
@ ১৯৫৯ সালের ১৮ এপ্রিল ভারত মাতার এই বীর সন্তান মহান বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘােষ চির ঘুমের দেশে
পাড়ি জমান/@ আজ এই মহামানবের প্রয়াণ দিবসে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও আভূমি প্রণাম জানাই ।
No comments