হলদিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৩কোভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সারাদেশে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মৃত্যুর মিছিল চলছে ।কোভিড ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ আকাল পড়েছে। ৪৫ বছরের উর্ধ্বে বহু মানুষ এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের,হাসপাতালে গিয়…
হলদিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৩
কোভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সারাদেশে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মৃত্যুর মিছিল চলছে ।কোভিড ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ আকাল পড়েছে। ৪৫ বছরের উর্ধ্বে বহু মানুষ এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের,হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ পাচ্ছেনা ঘুরে আসছেন।
তারই মধ্যে হলদিয়ার প্রশাসন সচেতন করতে মাঠে নেমেছেন। হলদিয়া শিল্প কলকারখানা স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিকদের শিল্প সংস্থার দায়িত্ব নিয়ে কোভিড প্রথম ডোজ বেসরকারি নার্সিং হোম থেকে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই মধ্যে কোভিড পরীক্ষা চলছে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।হলদিয়া প্রতিদিন ৫০ জনের বেশি করোনাই আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ বিকেল পর্যন্ত হলদিয়া করোণা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৫ জন। দুদিন আগে পর্যন্ত পজিটিভ ছিলেন ২৪৭ জন এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন।
গত দুদিনের হলদিয়া এক বৃদ্ধাসহ তিনজন মারা গিয়েছেন। রবিবার রাতে হলদিয়া দূর্গা চক বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সে এক জুয়েলারি ব্যবসায়ী মারা যান ।সোমবার করোনায় মারা গেছেন সুতাহাটা বাজার এলাকার বাসিন্দা এক শিক্ষক তিনি স্থানীয় জনকল্যাণ হাই স্কুলের প্যারা টিচার ছিলেন। গান বাজনার জন্য তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।গত রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি দুর্গাচক হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেখানে মারা যান ।মৃত্যু পর পর দীর্ঘ সময় কেটে গেল সন্ধ্যা পর্যন্ত তার মৃতদেহ সৎকার হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পৌর কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রবল টানপোড়েন চলে। এই ঘটনা নিয়ে হলদিয়া হাসপাতালের মহকুমার শাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব সামনে এসেছে ।এখনো পর্যন্ত পৌরসভার কুইক রেসপন্স টিম তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। পৌরসভা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক করোনা নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।দিনের-পর-দিন করোনার প্রভাব পড়ছে এখনো মানুষ সচেতন হয়নি তাই বাধ্য হয়ে ভবানীপুর থানার পুলিশ হলদিয়া ব্রজলালচক মানুষকে সচেতন করলেন এবং প্রায় ১১৫ জনের উপর কেস দিলেন।
No comments