প্রায় ১১ মাস কোভিড ১৯ জন্য ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ ছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, স্কুল, কলেজ অফিস-আদালত খুলছে, দোকানে প্রসাধনী দ্রব্য থেকে শুরু করে অন্যান্য দোকানদার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদার সাথে সাথে হলদিয়া শিল্প…
প্রায় ১১ মাস কোভিড ১৯ জন্য ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ ছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, স্কুল, কলেজ অফিস-আদালত খুলছে, দোকানে প্রসাধনী দ্রব্য থেকে শুরু করে অন্যান্য দোকানদার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদার সাথে সাথে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এর বিভিন্ন দোকানে ডিস্ট্রিবিউটারগন বিভিন্ন দোকানে পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি শনিবার হলদিয়ার ব্রজলালচকে জিও মার্টের পণ্যবোঝাই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন হলদিয়া ডিসট্রিবিউটরস ওয়েলফেয়ারস অ্যাসোসিয়েশন। জিও মার্ট হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের দোকানগুলিতে বিভিন্ন কোম্পানির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ শুরু করতেই বিপাকে পড়েছেন ২৫০ ডিসট্রিবিউটর ও কয়েক হাজার সাপ্লায়ার। গত একসপ্তাহ থেকে জিও মার্ট সংস্থাটি হলদিয়ায় একাজ শুরু করেছে। এজন্য হলদিয়ার ব্রজলালচকে চৈতন্যপুর রোডে একটি স্টক পয়েন্ট তৈরি করেছে। এদিন স্টক পয়েন্টে মাল রাখতে এলে সেই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন হলদিয়ার ডিসট্রিবিউটররা। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জিও মার্ট তাঁদের কাজ ও ব্যবসা কেড়ে নেবে। বড় পুঁজির সংস্থা ছোট ছোট ব্যবসাদারদের কর্মহীন করে দেবে। জিও মার্ট সরাসরি দোকানদারদের কাছে গিয়ে তাদের নিজস্ব অ্যাপ স্মার্ট ফোনে লোড করে দিচ্ছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে দোকানদাররা অর্ডার দিয়ে অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করলে মাল পৌঁছে দিচ্ছে জিও মার্ট। ১০-১৫শতাংশ কম দামে সেই মাল পাচ্ছে দোকানদাররা। ডিসট্রিবিউটররা বলেন, এরফলে মার্কেটে আমরা যেতে পারছি না, দোকানদার আর অর্ডার দিচ্ছে না। তারা কমদামে মাল পেয়ে আমাদের অবিশ্বাস করছে। এদিকে দোকানদারদের কাছে ডিসট্রিবিউটরদের লক্ষ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে। কোম্পানিগুলিও বিষয়ে আগে ভাগে জানায়নি। মার্কেটে কাজ করার আগে জিও মার্ট এবিষয়ে কোনও আলোচনা করেনি। সেজন্য এতগুলো মানুষের পেটের ভাত যারা কেড়ে নেবে তাদের বাধা দেওয়া হবে।
No comments