বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ হয়নি, কারন এমনিতেই সাফাই কর্মীর অভাব, তাঁর ওপর বড়মা কোভিড হাসপাতাল পরিস্কারের দায়িত্ব পড়েছে পাঁশকুড়া পৌরসভার কাঁধে। যাঁর ফলে সমস্যা পিছু ছাড়বেনা বলে ভাবছেন পাঁশকুড়াবাসী। করোনা সংক্রমনের পর …
বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ হয়নি, কারন এমনিতেই সাফাই কর্মীর অভাব, তাঁর ওপর বড়মা কোভিড হাসপাতাল পরিস্কারের দায়িত্ব পড়েছে পাঁশকুড়া পৌরসভার কাঁধে। যাঁর ফলে সমস্যা পিছু ছাড়বেনা বলে ভাবছেন পাঁশকুড়াবাসী। করোনা সংক্রমনের পর থেকে করোনা হাসপাতাল তৈরি হয় পাঁশকুড়ায়। সরকারী উদ্যোগে বড়মা হাসপাতালে শুরু হয় করোনা চিকিৎসা। যাঁর ফলে করোনা হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, স্বস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রায় সকলের, ব্যবহৃত পিপিই ,মাস্ক, গ্লাবস, টুপি, ওষুধের বর্জ্য হলদিয়ার এক সংস্থা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কিন্তু গতকয়েক মাসের রোগীদের খাওয়ারের ব্যবহৃত কাগজের পাত্র ,প্লাস্টিকের জলের বোতল সহ, বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী করে রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, সেগুলি পলিথিনের মধ্যে ঢুকিয়ে হাসপাতালের পেছনে মজুত রাখা হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে সেগুলি থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠেছে যেখানে পৌরসভার আবর্জনা সংগ্রহ হয়নি, সেখানে কোভিড হাসপাতালের পরিত্যক্ত আবর্জনা পরিস্কার করার মতো কাজ সামলাবে কি করে ?
যদিও ঠিক হয়েছে বড়মা হাসপাতালের বর্জ্য সপ্তাহে দুদিন পরিস্কার হবে।
তবে পুরসভা সূত্রে জানা যায় পুর এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ির আবর্জনা ড্রাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলতে হলে ১১৪ জন সাফাই কর্মীর প্রয়োজন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেখানে সাফাই কর্মী মাত্র ৫ জন। তবে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সমগ্রহের জন্য পুরসভা থেকে বাড়ি বাড়ি ডাস্টবিন দিয়েছে, তবে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় সাফাই অভিযানে বাধা পড়ে। তাঁর ওপর বড়োমা কোভিড হাসপাতালের দায়িত্ব পুরসভার কাঁধে। এ বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র বলেন খুব দ্রুত আমরা মেচোগ্রাম বড়োমা করোনা হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করব। এই কাজের জন্য একটা জেসিবি মেশিন ভাড়া করা হয়েছে, সপ্তাহে দুদিন ওই বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। তবে পুর ও নগোরো়ন্নয় দফতরের কাছে সাফাইকর্মী নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি পুরসভা ছাড়াও বাড়তি দায়িত্ব আমরা সামাল দিতে পারব।
No comments